ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

মঞ্চে গাওয়ার ব্যাপারে ন্যানসি যা বললেন

সোমেশ্বর অলি, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৫
মঞ্চে গাওয়ার ব্যাপারে ন্যানসি যা বললেন ন্যানসি/ছবি: নূর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চলচ্চিত্রের নতুন একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ন্যানসি। শহীদুল্লাহ ফরায়জীর লেখা গানটির সুরকার ও সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন।



ন্যানসি বাংলানিউজকে জানান, গানটিতে তার সঙ্গে গেয়েছেন তৌসিফ। এতে ঠোঁট মেলাবেন ফেরদৌস ও নিঝুম রুবিনা। ছবির নাম ‘মেঘকন্যা’। পরিচালক মিনহাজ।  

এদিকে ন্যানসি আবার ঢাকায় বসত গেড়েছেন। এখন থেকে নিয়মিতভাবে রাজধানীতেই থাকবেন। পান্থপথের একটি বাসায় উঠেছেন স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে। তিনি জানান, মাঝে মধ্যে ময়মনসিংহে শ্বশুড়বাড়ি ও নেত্রকোনায় নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসবেন।

নতুন গান গাওয়ার প্রসঙ্গ ধরে ন্যানসির অন্যান্য ব্যস্ততা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, তার নতুন এককের কাজ চলছে। গত ঈদুল আযহায় এটি বাজারে আসার কথা থাকলেও একটু বিলম্ব হচ্ছে। এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে গানগুলোতে ভয়েস দেবেন তিনি।

মঞ্চে গাইছেন কি-না জানতে চাইলে ন্যানসি বলেন, ‘দু’ বছর আগেও মঞ্চে গান করার সুন্দর অভিজ্ঞতা ছিলো। এখন আসলে সেই মানের আয়োজন হচ্ছে না। স্বল্প বাজেটের শো হয়তো হচ্ছে। আমার কাছেও প্রস্তাব আসে, কিন্তু মন থেকে সায় পাই না। ঘরোয়া গানের আসর নিয়ে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমার ভালো লাগে না ছোট পরিসরে গাইতে। ’

দেশের বাইরে থেকেও নিশ্চয়ই আমন্ত্রণ পান? এমন প্রশ্নের জবাবে ন্যানসি বলেন, ‘আসলে তেমন ডাক আসে না। কারণ আমি বাইরে গান করার বেলায় অনেকগুলো শর্ত জুড়ে দিই। এগুলো পূরণ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব না। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই এমনটা করি আমি। সব মিলিয়ে আগ্রহও কমে গেছে। আমি গানটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি। আয়োজকদের কাছ থেকেও পেশাদারি মনোভাবটাই আশা করি। ’

ন্যানসি জানান, বিদেশে গান করতে গেলে শিল্পীরা অনেক ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। বিমানের টিকিট বুকিং থেকে সেটা শুরু হয়। এমনও ঘটে যে, শিল্পীদের হোটেলে রাখার কথা বলে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় তুলে দেওয়া হয়। ন্যানসির কাছে বিষয়টা দৃষ্টিকটু লাগে। হোটেলের কনফার্মেশন কপি হাতে পেলেই তিনি যেতে রাজি হন। সম্মানীর পুরো অর্থ তিনি দেশেই বুঝে নিতে চান। না হয় ওখানে গড়িমসি করেন আয়োজকরা। অন্যদিকে শিল্পীদের খাবারের ব্যাপারেও মনযোগী নন আয়োজকরা।

অস্ট্রেলিয়া সফরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে ন্যানসি বলেন, ‘ওখানে দুপুর ১২টার দিকে আমাকে একটা পরোটা আর ডিম, সন্ধ্যায় একটা বার্গার দেওয়া হয়েছিলো। আমি তিনবেলা খাবারের নিশ্চয়তাও চাই। এবং অবশ্যই বাঙালি খাবার হতে হবে। ’
 
অন্যদিকে দেশের বাইরে গিয়ে মোবাইলফোনের সিমকার্ড জটিলতায় পড়তে হয়। এর ওর ফোন ধার করে দেশের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। এ ব্যাপারেও আয়োজকরা সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে পারেন বলে জানান তিনি। ন্যানসি গান নিয়ে ৭-৮টি দেশ ঘুরেছেন। গানের আমন্ত্রণের খাতিরে দেশ ঘোরার পক্ষে নন তিনি।     

বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৫
এসও

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।