ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

তিন ‘বালা’য় উচ্ছ্বসিত মৌসুমী হামিদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
তিন ‘বালা’য় উচ্ছ্বসিত মৌসুমী হামিদ ‌(বাঁ থেকে) প্রীতিবালা ও রানীবালা মৌসুমী হামিদ

ঘরের খুঁটি ধরে বসে আছে যে, গলায় চিকন পৈতা, হাতে শাখা, সিঁদুর খানিকটা লেপ্টে উঠে গেছে সিঁথি বরাবর; তার নাম প্রীতিবালা। সে প্রান্তিক সমাজের মেয়ে।

পঞ্চগড়ের সুবিধাবঞ্চিত একটি ছিটমহলে থাকে। নিম্নবিত্তের সংসারে তার চাওয়া-পাওয়াগুলো প্রতিদিনই ফ্যাকাসে। এই প্রীতিবালা হয়ে পাঁচদিন পঞ্চগড়ে থেকেছেন মৌসুমী হামিদ। সেখানে কাজ করেছেন নতুন ছবি ‘শেষ প্রহর’-এর। এইচ আর হাবিবের পরিচালনায় ছবিটির প্রীতিবালা হতে পেরে দারুণ খুশি জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রীতিবালা হয়েছিলেন, মাঝের দিকে এসে মৌসুমী হামিদ হলেন রানীবালা। তবে এ ‘বালা’ও প্রান্তিক-সুবিধাবঞ্চিত হলেও থাকে শহর ঢাকায়। ‘সে যৌনকর্মী’- রানীবালার সঙ্গে এভাবেই পরিচয় করিয়ে দিলেন তিনি, ‘তবে দেখে-স্বভাবে একেবারেই বোঝার উপায় নেই তা। খুবই অভিজাত পরিবারের মনে হয়। মফস্বলে থাকতো। পড়াশোনাও করেছে যতোদূর সম্ভব। সে যে প্রান্তিক মেয়ে, ধরা পড়ে যখন সে কথা বলে। কথায় প্রচুর আঞ্চলিকতা। ’

চরিত্রের নামেই নাটকের নাম ‘রানীবালা’। কাহিনী ও পরিচালনা সুমন আনোয়ারের। মৌসুমী হামিদ এ গল্পে, এ চরিত্রে এতোখানি ডুবে গেছেন যে, বলছিলেন, ‘গতকাল (২২ নভেম্বর) আমার অংশের কাজ ছিলো না। তবুও সারাদিন সেটে বসেছিলাম, কীভাবে কাজটা হচ্ছে, অন্যরা কীভাবে চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলছে- শুধু এটা দেখার জন্য। ’

গল্পে দু’জন আইনজীবী আছেন। একজন আফরান নিশো, অন্যজন মনিরা ইউসুফ মেমী; তারা মা-ছেলে। পুলিশ কর্মকর্তাও আছেন। আছেন একজন সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী (শহীদুল আলম সাচ্চু), যার বিরুদ্ধে রানীবালা মামলা ঠুকে দেয়, ধর্ষণের অভিযোগে। ‘একজন যৌনকর্মীও যে ধর্ষণের শিকার হতে পারে, হয়; পুরো গল্পটা সেটা প্রমাণ করার। সত্যের বিরুদ্ধে মিথ্যার পরাজয়ের গল্প এটা’- বলছিলেন মৌসুমী।

এদিকে আঙুরবালা নামের আরেকটি চরিত্রে কাজ করবেন মৌসুমী হামিদ। এটাও সুমন আনোয়ারের নাটকের চরিত্র। কাজটা শুরু হবে এ মাসেই। এর দৃশ্যধারণ হবে শ্রীমঙ্গলে। এ নিয়েও উচ্ছ্বসিত ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ সুন্দরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।