ভারতে অসহিঞ্চুতা বেড়েছে মন্তব্য করে গত বছর তুমুল বিতর্কের জন্ম দেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। তার স্ত্রী কিরণ রাও তাকে ভারত ছেড়ে দেওয়া উচিত কি-না প্রশ্ন করেছিলেন।
নিজের অভিনীত ‘রঙ দে বাসন্তী’ ছবি মুক্তির এক দশক পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমির বলেছেন, ‘আমার দেশকে ভালোবাসি। আমি এখানে জন্মেছি, এখানেই মরবো। ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা কখনও ভাবিনি। এমন কিছু কখনও করবো না। ’
আমির আরও বলেন, 'আমি কখনও বলিনি ভারত অসহিঞ্চু কিংবা দেশ ছেড়ে চলে যাবো...। যদিও এ দুটি কথাই সবার মুখে মুখে। এতে করে মানুষ কষ্ট পেয়েছে। আমি তাদের অনুভূতি বুঝতে পারছি। আমার ওপর লোকজন ক্ষুব্ধ হওয়ায় মোটেও অবাক হইনি। কিন্তু এ দুটি কথার কোনো সত্যতা নেই। '
নিজেকে নিয়ে চাউর হওয়া গুঞ্জনের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা দিতে আমির বলেছেন, 'কখনও বলিনি ভারত অসহিঞ্চু। আমাদের দেশ বহু ভাষা ও সংস্কৃতিতে বৈচিত্রময়। ভারতের মতো অন্য কোনো দেশে এমন বৈচিত্র নেই। এটাই আমাদের দেশের শক্তি। এরপরও যদি কেউ আমাদের মনোবল ভেঙে দিতে চায়, আমার খারাপ লাগে। দেশকে দুর্বল না করে, বিষ না ছড়িয়ে আসুন একসঙ্গে বাঁচি। '
গত নভেম্বরে বিতর্কিত মন্তব্য করায় টুইটারে ব্যাপক সমালোচিত হন আমির। অনুপম খের, রাভিনা ট্যান্ডন, অক্ষয় কুমার, শত্রুঘ্ন সিনহাসহ বলিউডের অনেক তারকাও তাকে দুয়োধ্বনি দিয়েছেন। সম্প্রতি ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া অভিযানের শুভেচ্ছাদূত থেকে তাকে সরিয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে অমিতাভ বচ্চন ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে।
নিজের মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যার পেছনে সংবাদমাধ্যমে দুষেছেন আমির। তার ভাষ্য, 'আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। দেশের বাইরে দুই সপ্তাহের বেশি থাকলে দম বন্ধ হয়ে যায় আমার! আমি ঘরকুনো মানুষ। ভুল বোঝাবুঝির কারণে অন্য সবার মতো আমিও কষ্ট পেয়েছি। এর জন্য দায়ী সংবাদমাধ্যম। আমার বলা কথাগুলোকে মসলা দিয়ে নাটকীয়ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ এমন করবেন না। '
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
জেএইচ