কোনোটি নিজস্ব চিন্তাধারার প্রতিনিধিত্ব করে। কোনোটিতে আবার উঠে এসেছে চিরাচরিত বাঙালির অনুভূতি, জীবন সংগ্রাম, প্রয়োজন, স্বপ্ন ইত্যাদি।
এমন কিছু চিত্রকর্ম নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে ‘অনুভূত আলো আঁধার-২’ শীর্ষক দলীয় প্রদর্শনী। এতে স্থান পেয়েছে প্রায় ৩০টি চিত্রকর্ম। আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার ক্যাফে-লা-ভেরান্দায় আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন শিল্পী মনিরুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে থাকবেন শিল্প সমালোচক সামসুল ওয়ারেস। অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আঁলিয়স ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার পরিচালক ব্রুনো প্লাস।
এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী শিল্পী রশিদুল আলমের কিছু চিত্রকর্ম তার নিজস্ব চিন্তাধারার প্রতিনিধিত্ব করে। প্রায়ই তিনি ভালোবাসা, স্নেহ ও সুখে আবদ্ধ হন যা তার শৈশবকে দোলা দেয়। আল-আখির সরকার তার আঁকা চিত্রকর্মে চিরাচরিত বাঙালির অনুভূতিগুলোকে স্থান দিয়ে নিজের ব্যক্তিগত এবং ভেতরের অনুভূতিকে মুছে ফেলতে চেয়েছেন যেখানে ঐতিহ্য, অনুভূতি, ধর্মীয়আচরণ, চিন্তা, স্বপ্ন, এবং সমগ্র বাংলার ছবি বিদ্যামান। মো. আজমল হোসেনের চিত্রকর্মগুলো জীবন সংগ্রাম তুলে ধরে। আমরা আমাদের প্রয়োজন এবং স্বপ্ন সম্পর্কে গল্প সৃষ্টি করি যা কখনও কখনও আমাদের খুশি করে এবং কখনও কখনও আমাদেরকে বিপর্যস্ত করে আমাদের প্রত্যাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।
ব্যক্তির অন্বেষণ সৈয়দ ফিদা হোসেনের কাজের একটি অভ্যন্তরীণ বৈচিত্র। আমরা সবসময় আমাদের দৈনন্দিন হতাশার যান্ত্রিক জীবনের কাছে আবদ্ধ এবং আমরা আমাদের ভেতরের অস্তিত্ব হারিয়ে কখনও কখনও অবচেতন মনে নিজেদেরকে খুঁজি। এটা মানুষের অস্তিত্বের একটি রহস্যময় যাত্রা যা শিল্পী ফিদার কথায় ‘মানবতা’। সুলতান ইশতিয়াকের চিত্রকর্মের বিষয় হলো প্রকৃতির সৌন্দর্যের বিরুদ্ধে সমাজের কঠোর বাস্তবতা, বিকৃত বাড়িঘর, ঐতিহাসিকভবন, বুড়িগঙ্গা নদীর বড় বড় জাহাজ, উজ্জ্বল আলোমাঝি, নিপীড়িত মানুষ এবং তাদের নিয়মিত জীবনের কাজ, উজ্জ্বল আলো মাঝির অপেক্ষা, ঢাকা শহরের ট্রাফিক জ্যাম এবং ধসে যাওয়া বাড়ির আহত মানুষ।
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে প্রদর্শনী চলবে ৮ মার্চ পর্যন্ত। সোম থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং শুক্র ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। সবার জন্য উন্মুক্ত।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
জেএইচ