ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মাসুদ করিম স্মরণে ২৫ সংগীতশিল্পীকে সম্মাননা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৬
মাসুদ করিম স্মরণে ২৫ সংগীতশিল্পীকে সম্মাননা

‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘শিল্পী আমি তোমাদের গান শোনাবো’, ‘আমি সুজন দেখে ভাব করেছি’, ‘তন্দ্রাহারা নয়ন আমার’, ‘এ কি বাঁধনে বলো জড়ালে আমায়’, ‘সন্ধ্যারও ছায়া নামে’, ‘মন তো নয় আর আয়না’, ‘তুমি আসবে’, ‘ওগো চাঁদ তুমি কি জানো না’, ‘তুমি যে আমার ভালোবাসা...’- এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের গীতিকার মাসুদ করিম। প্রখ্যাত গজল সম্রাট মেহেদী হাসান, শ্যামল মিত্র, ভূপেন হাজারিকা এবং বাংলাদেশের কিংবদন্তি প্রায় সব শিল্পীই তার লেখা গান করেছেন।



মাসুদ করিম আজ নেই, কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন সৃষ্টিকর্মে। তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছে মাসুদ করিম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন। তাদের উদ্যোগে দেশবরেণ্য গীতিকার মাসুদ করিম স্মরণে আলোচনা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এখানে সংগীতাঙ্গনের ২৫ জন শিল্পীকে প্রদান করা হবে সম্মাননা। তাদের হাতে স্মারক তুলে দেবেন প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।

মাসুদ করিম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি দিলারা আলো জানান, শনিবার (১২ মার্চ) বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমীর চিত্রশালা মিলনায়তনে শুরু হবে অনুষ্ঠান। সম্মাননা পাচ্ছেন ফেরদৌসী রহমান, সাবিনা ইয়াসমিন, রুনা লায়লা, ফৌজিয়া খান, ফরিদা পারভীন, শাহীন সামাদ, আবিদা সুলতানা, রুমানা ইসলাম শ্রাবণী, ডলি ইকবাল, সৈয়দ আব্দুল হাদী, মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার, মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, শ্রীকান্ত আচার্য্য, কুমার বিশ্বজিৎ, সুবীর নন্দী, তিমীর নন্দী, শুভ্র দেব, কাদেরী কিবরিয়া, মাকসুদ, এমএ শোয়েব, সুরকার আলম খান, শেখ সাদী খান, গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, শাফাৎ খৈয়াম এবং লেখক কাজী আনোয়ার হোসেন।

১৯৩৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার দুর্গাপুর কাজীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন গীতিকার মাসুদ করিম। তার বাবা রেজাউল করিম ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী, মা নাহার গৃহিণী। মাসুদ করিমের সহধর্মিণী দিলারা আলো একজন সংগীতশিল্পী, বাংলাদেশ রেডিও ও টেলিভিশনে কয়েক যুগ ধরে সংগীত পরিবেশন করেছেন তিনি।

মাসুদ করিমের প্রথম চাকরি জীবন শুরু হয় বাংলাদেশ রেডিওতে প্রোগাম অফিসার হিসেবে। পরে কয়েক বছর ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০ সাল থেকে রেডিও ও টেলিভিশনের জন্য গান রচনা করেন তিনি। ষাট, সত্তর ও আশির দশকে রচনা করেন চলচ্চিত্রের গান। রচনা করেছেন অনেক গীতিনকশা, যার মধ্যে অন্যতম স্বাধীনতা দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে গানের অনুষ্ঠান ও ঈদের অনুষ্ঠান ইত্যাদি। ২০০৭ সালে মারা যান তিনি।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।