ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

আব্বাস কিয়ারোস্তামির সুস্থতায় ফারুকীর শুভকামনা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৬
আব্বাস কিয়ারোস্তামির সুস্থতায় ফারুকীর শুভকামনা

ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন ইরানের খ্যাতনামা পরিচালক আব্বাস কিয়ারোস্তামি। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে সম্মানিত চলচ্চিত্রকারদের একজন।

তার সুস্থতা কামনা করেছেন বাংলাদেশের নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘আব্বাস কিয়ারোস্তামি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে, এ খবরটা জেনে বিষণ্ন মনে সকাল শুরু হলো। এই মানুষটি ও তার কাজ বহু বছর ধরে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি তার কাছে অনেক ঋনী। ’

ফারুকী মঙ্গলবার ইরানে তার বন্ধুদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, আব্বাস কিয়ারোস্তামির শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি ঘরে ফিরেছেন। ফারুকী লিখেছেন, ‘তাকে এতো তাড়াতাড়ি যেতে দিচ্ছি না। আমাদের ভালোবাসাই জিতবে। ’

২০০৯ সালে আবুধাবিতে আব্বাস কিয়ারোস্তামির সঙ্গে ফারুকীর প্রথম সাক্ষাৎ হয়। আবুধাবির মিডল ইস্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ১৮টি ছবির মধ্যে ফারুকীর ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ ছিলো। তখন জুরি-প্রধান ছিলেন আব্বাস। ফারুকী বললেন, ‘আব্বাস কিয়ারোস্তামি আমার ছবি দেখেছেন। যার ছবি দেখে আমরা নিজেদের তৈরি করেছি, তিনিই আমার ছবি দেখেছেন।   পরে আমার ছবির প্রশংসার এক পর্যায়ে কিয়ারোস্তামি ‘এই নাও তোমার পুরস্কার’ বলে একটা মোটামুটি দীর্ঘস্থায়ী চুমু বসিয়ে দিলেন গালে। তারপর ছবিটা নিয়ে আরও বিস্তারিত কথা বললেন। বাংলাদেশের ছবি যে এতোদূর এগিয়েছে, এটাতে বিস্ময় এবং আগ্রহ প্রকাশ করলেন। পরের বছর বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে আবার দু’জনের দেখা হয়েছিলো।

ফারুকী বললেন, ‘আব্বাসকে আমি বলি প্রাণের মানুষ। নিজের সহকারী পরিচালকদের পরিপূর্ণ পরিচালক হতে অনুপ্রাণিত করার দীক্ষাটাও বহুদূর থেকে বসে আমি তার কাছ থেকেই নিয়েছি। ’

সম্প্রতি অন্ত্রে ক্যান্সারের কারণে রক্তক্ষরণ হওয়ায় কোমায় যেতে হয়েছিলো আব্বাস কিয়ারোস্তামিকে। ইরানের জাতীয় টিভি চ্যানেলকে চিকিৎসকরা জানান, কিয়ারোস্তামির দেহে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। ফলে কোমা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি।

১৯৯৭ সালে ‘টেস্ট অব চেরি’ ছবির সুবাদে কান উৎসবে স্বর্ণ পাম জেতেন আব্বাস কিয়ারোস্তামি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানি চলচ্চিত্রের সবচেয়ে পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি অন্যতম। ‘টেন’ ও ‘সার্টিফায়েড কপি’ ছবিগুলোর সুবাদে ইরান ও বহির্বিশ্বে ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েছেন ৭৫ বছর বয়সী এই গুণী শিল্পী।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।