ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মিসেস সান্তাক্লজ সেজে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে নওশাবা

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
মিসেস সান্তাক্লজ সেজে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে নওশাবা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে কাজী নওশাবা আহমেদ, ছবি: রাজীন চৌধুরী-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বড়দিনের প্রাক্কালে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটালেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় মোহাম্মদপুরের আদাবরে ১ নম্বর আলী আকবর ভূঁইয়া সড়কে একটি রিকশার গ্যারেজের পাশের এলাকায় যান তিনি।

বড়দিনের প্রাক্কালে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটালেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকায় মোহাম্মদপুরের আদাবরে ১ নম্বর আলী আকবর ভূঁইয়া সড়কে একটি রিকশার গ্যারেজের পাশের এলাকায় যান তিনি।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে কাজী নওশাবা আহমেদ।  ছবি: রাজীন চৌধুরী-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএখানকার বাসিন্দাদের প্রায় সবাই নিম্নবিত্ত। তাদের মধ্যে আছেন তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক থেকে শুরু করে রিকশাচালকের পরিবার। তাদের মধ্যে নানান রঙের বেলুন, জরি ও লাল-নীল ফিতা দিয়ে সাজানো রিকশায় চড়ে হাজির হন নওশাবা। এ সময় তিনি সেজেছিলেন মিসেস সান্তাক্লজের পোশাকে। তার সঙ্গে ছিলো স্বামী ও কন্যাসন্তান।

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে রিকশায় কাজী নওশাবা আহমেদ।  ছবি: রাজীন চৌধুরী-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমরিকশায় নওশাবা বস্তায় ভরে নিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন রঙিন কাগজে মোড়ানো নানান উপহার। এর মধ্যে ছিলো বেলুন, টিফিন বক্স, খাতা, পেন্সিল। এ ছাড়াও তিনি বিতরণ করেছেন মিষ্টি ও চকোলেট।

স্বামী এহসান রহমান জিয়া ও কন্যা প্রকৃতি এবং ফাতেমা, বেণু ও তানিয়ার মাঝে কাজী নওশাবা আহমেদ।  ছবি: রাজীন চৌধুরী-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমগরিবদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়াটাই ছিলো নওশাবার লক্ষ্য। নওশাবার সঙ্গে রিকশায় চড়ে এখানে এসেছিলো তিন তরুণী ফাতেমা, বেণু ও তানিয়া। তারা সেজেছিলো হরিণী! তাদেরকে তিনি ডাকেন জোনাকী নামে।

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে কাজী নওশাবা আহমেদ।  ছবি: রাজীন চৌধুরী-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমএ সময় নওশাবা বাংলানিউজকে বললেন, ‘ছোটবেলায় অনেকের মুখে শুনতাম শিশুরা শান্ত থাকলে সান্তাক্লজ এসে উপহার দেবে। অবশ্য তখন কখনও উপহার পাইনি। আমার ইচ্ছা ছিলো কখনও সামর্থ্য হলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করবো। সেই ভাবনা থেকেই কাজটি করা। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। আমার চোখে উৎসব সার্বজনীন বিষয়। ’

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে কাজী নওশাবা আহমেদ।  ছবি: রাজীন চৌধুরী-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমবাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।