ঢাকা, রবিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

বিনোদন

সাবরিনা জাহান সুপ্তি ও তার ‘রঙিন প্রজাপতি’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:৫৮, জুন ২, ২০১৭
সাবরিনা জাহান সুপ্তি ও তার ‘রঙিন প্রজাপতি’ ‘রঙিন প্রজাপতি’ সাবরিনা জাহান সুপ্তির প্রথম অ্যালবাম

শৈশব থেকেই বাবা নাটক লিখতেন, অভিনয় করতেন। গানের প্রতিও ভালোবাসা সেই শৈশব থেকেই, লিখতেনও। তবে কর্মজীবনে এসে আর মনোযোগটা ধরে রাখতে পারেননি। কিন্তু এই ভালোবাসা তো কারও না কারও মাধ্যমে চাষ করতে হবে। 

বাবা তাই তার মেয়েকেই মাত্র চার বয়সেই ভর্তি করে দিলেন লবলঙ সংগীত একাডেমিতে। তারপর থেকে সংগীত সাধনায় মনোনিবেশ পুঁচকে মেয়ের।

এখন সেই সাড়ে ১১ বছর বয়সী মেয়ের সংগীত মেধা ও প্রতিভা নিয়ে উপমহাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী-সুরকার শানের মন্তব্য, ‘ওর কণ্ঠে দারুণ মেলোডি আছে। খুব সহজেই ও যে কোনো গান তুলে ফেলতে পারে। আমি ওর মধ্যে বিরাট প্রতিভা লক্ষ্য করেছি। ’

শানের চোখে এই ‘বিরাট প্রতিভা’র নাম সাবরিনা জাহান সুপ্তি। এই সংগীত প্রতিভার একটি অ্যালবাম বেরিয়েছে ক’মাস আগে। নাম ‘রঙিন প্রজাপতি’। অ্যালবামটির বেশ ক’টি গান পেয়ে গেছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

এর ‘মন যদি নাহি নিবে’ গানটির কথা ও সুর সুপ্তির বাবা ডা. মোহাম্মদ সরোয়ার জাহানের। অ্যালবামে একটি নজরুল সংগীত, একটি ভাওয়াইয়া রয়েছে। বাকি সাতটি গান লিখেছেন তানিয়া সুলতানা। আর সুর করেছেন শান। অ্যালবামের সংগীত পরিচালনাও করেছেন শান। প্রোডাকশন অহর্নিশ অডিও।  

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গত ১০ এপ্রিল অ্যালবামটি রিলিজ করা হয় সুপ্তির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে (Sabrina Jahan Supti)। সুপ্তির অ্যালবামের তিনটি গান এরইমধ্যে বিটিভি প্রচার করেছে, আরও একটি প্রচারের অপেক্ষায়।  

২০০৫ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম সুপ্তির। বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার হরিণধরা গ্রামে। তার বাবা ডা. মোহাম্মদ সরোয়ার জাহান পেশায় প্রাণী চিকিৎসক ও মাইক্রোবায়োলজিস্ট। মা জুলেখা বেগম, তিনি গৃহিণী। তাদের বর্তমান বসবাস গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনার কেওয়া পশ্চিম খণ্ডে।

বাবার হাতেই গানে হাতেখড়ি নেওয়া সুপ্তি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মনোনিবেশ করে লবলঙ সংগীত একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার পর। অতি অল্প সময়েই সেই একাডেমিতে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখা সুপ্তি সব ধরনের গানে প্রতিভার ঝলক দেখালেও বেশি তালিম নিচ্ছে ক্লাসিক্যাল গান, নজরুল সংগীত ও রবীন্দ্রসংগীতের ওপর।  

উচ্চাঙ্গ সংগীতের জন্য ত্রিশালের কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বাসায় এসে তালিম দিচ্ছেন তাকে। পাশাপাশি সুপ্তি গাজীপুর শাহীন ক্যাডেট একাডেমির মাওনা শাখায় ক্যাডেট ব্যাচে পড়াশোনা করছে। সুপ্তি লেখাপড়াতেও তুখোড় মেধার স্বাক্ষর রেখে পিএসসিতে ২০১৬ সালে জিপিএ-৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে।  

সংগীত অঙ্গনে সে প্রথম দিকে ওস্তাদ মজিবর রহমানের কাছে এবং পরে ওস্তাদ আমজাদ হোসেনের সুযোগ্য শিষ্য মনজুরুল হাসানের কাছ থেকে শিক্ষা নেয়। এ পর্যন্ত সুপ্তি বহু মঞ্চে গান করেছে। প্রান্তি, তোবা, আব্দুল জব্বার, লায়লা, কাঙ্গালিনী সুফিয়া, আলম আরা মিনু, মুহিন, পিন্টুসহ অনেকের সঙ্গে স্টেজ পারফর্মও করেছে সে।  

সুপ্তির শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনে করেন, এতো অল্প বয়সে মৌলিক গানের একক অ্যালবাম করে সুপ্তি যে প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে তা অভাবনীয়। সুপ্তি সংগীত অঙ্গনে আরও অনেক দূর যাবে।  

নিজের ‘রঙিন প্রজাপতি’ প্রসঙ্গে সুপ্তি বলে, গানগুলো খুব যত্ন নিয়ে করেছি। আশা করি সবাই আমার গানগুলো শুনবেন এবং আমার ফেসবুক পেজে (Sabrina Jahan Supti) মূল্যবান মতামত দেবেন, যেন আমি আরও সুন্দর বাংলা গান উপহার দিতে পারি শ্রোতাদের।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।