ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

অক্ষয়ের ছবির সমালোচনায় তসলিমা নাসরিন

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
অক্ষয়ের ছবির সমালোচনায় তসলিমা নাসরিন ছবি: সংগৃহীত

২০১৯ সালের মধ্যে ভারতকে স্বচ্ছ করে তুলতে বদ্ধপরিকর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অন্যতম অংশ হলো শৌচালয় নির্মাণ। প্রধানমন্ত্রীর সেই ভাবনাকেই রূপালি পর্দায় ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’র মাধ্যমে বড় পরিসরে ফুটিয়ে তুলেছেন অক্ষয় কুমার। এরই মধ্যে ছবিটি দেখেছেন জনপ্রিয় লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ছবির বিষয়বস্তু পছন্দ হলেও সমাজকে বার্তা দেওয়ার পদ্ধতিটি একেবারেই মনে ধরেনি তার।

এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তসলিমা নাসরিন ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’র প্রশংসা ও সমালোচনা করে লিখেছেন, ‘‘টয়লেট, এক প্রেম কথা' ছবিটি দেখলাম আজ। জনসংখ্যার অর্ধেকের চেয়ে বেশি লোক যে দেশে মাঠে জঙ্গলে মলমূত্র ত্যাগ করে, সে দেশে টয়লেট ব্যবহার করার পক্ষে একখানা চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে! সাধু উদ্যোগ।

চলচ্চিত্রে চেষ্টা করা হয়েছে টয়লেট ব্যবহার করার ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করার। অর্থহীন নর্তন- কুর্দন আর খুন খারাবির ছবির চেয়ে এসব শিক্ষামূলক ছবি ঢের ভালো। ’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ছবিটিতে মূলত যা বলা হয়েছে তা হলো, মেয়েরা পাবলিকের সামনে বিবসনা হয়ে পেচ্ছাব পায়খানা করতে বসে, এটা অত্যন্ত লজ্জার ব্যাপার। মেয়েদের লজ্জা নিবারণ করতেই টয়লেটের প্রয়োজন অনুভব করে কিছু মানুষ। বাকিরা তো তুলসি তলার আশেপাশে শৌচালয় হবে না সাফ সাফ বলেই দিয়েছে। শেষ অবধি টয়লেট বানানো হয় গ্রামে। কিন্তু টয়লেট যে একই রকম জরুরি পুরুষের জন্য সে কথা বলা হয় না। এটি যে সবার স্বাস্থ্যের জন্য দরকার তাও বলা হয় না। মেয়েদের যেখানে সেখানে বিবসনা হওয়া বন্ধ করতেই টয়লেট বসানোর ব্যাপারে মানুষ রায় দিয়েছে। পুরুষ বিবসনা হলে ক্ষতি নেই, মেয়েদের হলেই ক্ষতি— এই জ্ঞান মাথায় নিয়ে কেউ টয়লেট বানাচ্ছে দেখলে অস্বস্তি হয়। মানুষ তো মাঠে ঘাটে পায়খানা করে পরিবেশকে যে দূষিত করছে, সে ব্যাপারে কিছু শিখলো না। এই শিক্ষাটাই যদি দেওয়া না হয়, তবে এই ছবিকে শিক্ষামূলকই বা বলি কী করে!’

শ্রী নারায়ণ সিং পরিচালিত ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’য় অক্ষয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী ভূমি পেড়নেকর।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৭
বিএসকে/এসও

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।