মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের ‘ঋত্বিক’ আয়োজিত দেশ বিদেশের নাট্যোৎসব, শান্তিপুরের ‘রঙ্গপীঠ’ আয়োজিত রঙ্গপীঠ রঙ্গমেলা আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসব, গোবরডাঙার ‘নকশা’ আয়োজিত পঞ্চম জাতীয় নাট্যোৎসব—এই তিন ভেন্যুতে ১টি করে মঞ্চায়ন হবে। আর ‘এবং আমরা থিয়েটার’ গ্রুপের আমন্ত্রণে বোলপুর শান্তিনিকেতনে দুটি শো করবে তারা।
হবিগঞ্জ-সুনামগঞ্জের ভাটি এলাকার বীরযোদ্ধা শহীদ জগৎজ্যোতি দাস ও তাঁর দাসপার্টির অদম্য যুদ্ধগাথারই নাট্যরূপ এই ‘জ্যোতিসংহিতা’ নাটকটি। নতুন প্রজন্মের তরুণদের সঙ্গে তার কথোপকথনের মধ্য দিয়েিএ নাটকে ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে বহমান স্বাধীনতার চেতনা অন্বেষণের স্বরূপটি। গীত হয় তারুণ্যের জয়গাথা। জগৎজ্যোতি ইতিহাসের একটি হীরন্ময় অধ্যায়েরই এক কিংবদন্তিতুল্য সন্তান ও কুশীলব। যৌবনে প্রগতিশীল রাজনীতির চেতনা তাঁকে উদ্দীপ্ত করেছিল অকুতোভয় সংগ্রামে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে জগৎজ্যোতি দাস ও তাঁর নেতৃত্বাধীন দাসপার্টি ছিলো এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। নিজের আদর্শকে জগৎজ্যোতি অমলিন রেখেছেন জীবনের মূল্যে। জগৎজ্যোতিকে হত্যার পর তাঁর মৃতদেহ নিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে মেতে ওঠে রাজাকার বাহিনী। কিন্তু জগৎজ্যোতির মৃত্যূ হলেও তার আদর্শের মৃত্যু হয় না। চেতনার মৃত্যু হয় না।
বাঙ্গালির অকুতোভয় এই তরুণ বীরযোদ্ধাকে নিয়ে কী ভাবছে স্বাধীনতার সুফলভোগী বর্তমান প্রজন্ম? এই প্রশ্নের পথ ধরেই নাটকটি পৌঁছে যায় এক মহাকাব্যিক অতীতে।
বাংলাদেশ সময়:১৬৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৭
জেএম