নোটিশে ‘মাইলস’ নাম ব্যবহার করে কেউ যাতে পারফর্ম না করে সেই আপত্তি জানান সাফিন। ব্যান্ডের সদস্যরাও পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন।
এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সাফিন আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে সাফিন আহমেদ বলেন, ৬টি কোম্পানি মাইলসের গানের ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ করে। যেখান থেকে নিয়মিত বড় অংকের অর্থ আসে। যেটা পুরোটা হামিন আহমেদ (মাইলসের গিটারিস্ট-ভোকালিস্ট ও সাফিন আহমদের বড় ভাই) দেখেন। যেখান থেকে আয়ের সঠিক প্রাপ্য অর্থ আমি পাইনি। বারবার অর্থের হিসাব চাওয়া সত্ত্বেও আমাকে দেওয়া হয়নি। তাছাড়া তিনি জানান, মঞ্চে আমার গান তিনি আর বাজাতে চান না। এসব বিষয় নিয়ে আমি তার সঙ্গে মেইলে ও চিঠিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি সঠিক কোনো উত্তর দেননি।
চলতি বছর ১৫ নভেম্বর সাফিন আহমেদ ‘মাইলস ব্যান্ড লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে যার স্বত্বাধিকারী শুধু তিনি নিজেই। এ প্রসঙ্গে সাফিন বলেন, এতদিন আমাদের দলটি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপে ছিল না। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে মাইলসকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিলাম। তাই এখন থেকে আমি ব্যতীত ‘মাইলস’ নাম ব্যবহার করে কেউ কোথাও পারফর্ম অথবা কোনো কাজ করতে পারবেন না।
মাইলস’র প্রতি অন্য সদ্যসদ্যেরও অধিকার আছে। তাই কেউ যদি আলোচনা সাপেক্ষে কোম্পানির আওতায় আসতে চান তাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা, যোগ করেন সাফিন।
১৯৭৯ সাল থেকে সাফিন আহমেদ এবং তার বড় ভাই হামিন আহমেদ মাইলসের সঙ্গে যুক্ত হন। ৩৮ বছর ধরে এই ব্যান্ড দল থেকে ৮৪টি গান প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে বহু গান তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এরআগে ২০১০ সালে ব্যান্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রথম ঘোষণা দেন শাফিন আহমেদ। যদিও অল্প সময়ের ব্যবধানে একসঙ্গে ফের মঞ্চ মাতান হামিন-শাফিন।
সাফিন আহমেদ ও হামিন আহমেদ নজরুল সঙ্গীতের প্রতিথযশা শিল্পী ফিরোজা বেগম ও প্রসিদ্ধ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক কমল দাসগুপ্তের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭
জেআইএম/এমজেএফ