ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন যারা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাচ্ছেন যারা প্রতীকী ছবি

ঢাকা: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ সালে যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন ফরিদা আক্তার ববিতা ও আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। আয়নাবাজি, শঙ্খচিল, অজ্ঞাতনামা এবং কৃষ্ণপক্ষ এই চারটি সিনেমা বেশিরভাগ পদক পেতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে চলচ্চিত্র জুরি বোর্ড থেকে নির্বাচিতদের নাম অনুমোদনের জন্য জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০১৬ এর জন্য চলচ্চিত্র জুরি বোর্ড থেকে নির্বাচিতদের নামে হাতে এসেছে। প্রস্তাবিত নামের তালিকায় রাখা হয়েছে মুখ্য ও বিকল্প শিল্পীদের নাম।

জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে অনুমোদনের পর শিগগিরই ঘোষণা করা হবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৮টির মধ্যে এবার ২৫টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে। শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনয়শিল্পী এবং শিশু শিল্পী (বিশেষ) এই ৩ বিভাগে কোনো শিল্পী যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হননি বলে জানা গেছে।

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে অজ্ঞাতনামা সিনেমার জন্য রয়েছে ফরিদুর রেজা সাগরের নাম। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

‘ঘ্রাণ’ সিনেমা চূড়ান্তভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছে সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে। চূড়ান্তভাবে শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘জন্মসাথী’। প্রযোজক একাত্তর মিডিয়া লিমিটেড ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

অমিতাভ রেজা চৌধুরী তার ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে রয়েছেন সেরা পরিচালকের সম্ভাব্য তালিকায়। শ্রেষ্ঠ অভিনেতার চরিত্রে ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার জন্য চঞ্চল চৌধুরী ও ‘অস্তিত্ব’ সিনেমার জন্য নুসরাত ইমরোজ তিশা প্রধান চরিত্রের অভিনেত্রী বিভাগের সেরা হিসেবে প্রস্তাবিত হয়েছেন।

পার্শ্ব চরিত্রের সেরা অভিনেতা হিসেবে যৌথভাবে আলীরাজ ও ফজলুর রহমান বাবুর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। কৃষ্ণপক্ষ সিনেমার জন্য চূড়ান্তভাবে পার্শ্ব চরিত্রের সেরা অভিনেত্রী হিসেবে তানিয়া আহমেদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

অজ্ঞাতনামা সিনেমার জন্য সেরা খল চরিত্রের অভিনেতা চূড়ান্ত হয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। অনুম রহমান খান (শঙ্খচিল) বিবেচনায় আছেন শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে।

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে ইমন সাহার নাম, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’ সিনেমার জন্য। ‘নিয়তি’ সিনেমার জন্য মো. হাবিবের নাম আছে সেরা নৃত্য পরিচালকের তালিকায়।

‘অমৃত মেঘের বারি’ গানের জন্য সৈয়দ ওয়াকিল আহাদ রয়েছেন মূখ্য বিবেচনায়। গানটি ব্যবহার করা হয়েছে ‘দর্পণ বিসর্জন’-এ।

মেয়েটি এখন কোথায় যাবে সিনেমার ‘বিধিরে ও বিধি বিধি’ গানের জন্য গীতিকার হিসেবে গাজী মাজহারুল আনোয়ার ও একই সিনেমার একই গানের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ইমন সাহার নাম এসেছে প্রস্তাবনায়।

‘অজ্ঞাতনামা’ সিনেমার জন্য সেরা কাহিনীকার তৌকির আহমেদ এবং ‘আন্ডার কনস্ট্রাকশন’ সিনেমার জন্য রুবাইয়াত হোসেন পেয়েছেন সেরা চিত্রনাট্যকারের মনোনয়ন।

যুগ্মভাবে অনম বিশ্বাস ও আদনান আদীব খান শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে সেরা হতে পারেন।

শ্রেষ্ঠ সম্পাদক ইকবার আহসানুল কবির (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক উত্তম গুহ (শঙ্খচিল), সেরা চিত্রগাহক রাশেদ জামান (আয়নাবাজি), রিপন নাথ সেরা শব্দগ্রাহক (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজ-সজ্জা বিভাগে সাত্তার (নিয়তি) এবং শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান বিভাগে মানিক (আন্ডার কনস্ট্রাকশন) আছেন বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনায়।

আজীবন সম্মাননা বিভাগ ছাড়া বাকি সব বিভাগেই রাখা হয়েছে বিকল্প নাম। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে বিকল্প হিসেবে রয়েছেন হাবিবুর রহমান ও ফরিদুর রেজা সাগর, সিনেমা শঙ্খচিল।

বিকল্প শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক তৌকির আহমেদ (অজ্ঞাতনামা), প্রধান চরিত্রে বিকল্প অভিনেতা শাকিব খান (শিকারি), প্রধান চরিত্রে বিকল্প অভিনেত্রী কুসুম শিকদার (শঙ্খচিল), পার্শ্ব চরিত্রে বিকল্প সেরা অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু (অজ্ঞাতনামা)।

সেরা সংগীত পরিচালক (বিকল্প) এস আই টুটুল (কৃষ্ণপক্ষ), নৃত্য পরিচলক (বিকল্প) মো. হাবিব (অনেক দামে কেনা), বিকল্প শ্রেষ্ঠ গায়ক জেমস (আমি আকাশের কাজে জানতে চাই- সুইট হার্ট)।

কৃষ্ণপক্ষ সিনেমায় ‘ঠিকানা আমার নোটবুকে লেখা’ গানের জন্য সেরা গীতিকার বিভাগে বিকল্প গীতিকার হুমায়ূন আহমেদ। বিকল্প সেরা সুরকার এস আই টুটুল, সিনেমা কৃষ্ণপক্ষ, গান ‘ঠিকানা আমার নোটবুকে লেখা’।

বিকল্প তালিকায় শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে আছেন রুবাইয়াত হোসেন (আন্ডার কনস্ট্রাকশন), আয়নাবাজির জন্য বিকল্প সেরা চিত্রনাট্যকার অনম বিশ্বাস ও গাউসুল আলম। বিকল্প সেরা সংলাপ রচয়িতা রুবাইয়াত হোসেন (আন্ডার কনস্ট্রাকশন)।

বিকল্প তালিকায় শ্রেষ্ঠ সম্পাদক ক্যাটাগরিতে সুজন মাহমুদ (আন্ডার কনস্ট্রাকশন), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক শহীদুল ইসলাম (আয়নাবাজি), সেরা চিত্রগাহক এনামুল হক সোহেল (অজ্ঞাতনামা), আইসক্রিম সিনেমার জন্য সেরা শব্দগ্রাহক বিভাগে রিপন নাথ, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা বিভাগে বিকল্প ফারজানা সান (আয়নাবাজি) এবং শ্রেষ্ঠ মেক-আপম্যান ক্যাটাগরিতে মো. সেলিম (শঙ্খচিল)।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৬ প্রদানের জন্য ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর চলচ্চিত্র আহ্বান করে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।