ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

জাতীয় ঈদগাহে আইয়ুব বাচ্চুর জানাজায় মানুষের ঢল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮
জাতীয় ঈদগাহে আইয়ুব বাচ্চুর জানাজায় মানুষের ঢল  জাতীয় ঈদগাহে শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা | ছবি: শাকিল আহমেদ

জাতীয় ঈদগাহ মাঠ থেকে: বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রথম নামাজে জানাজা হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) শহীদ মিনার থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। তারপরই দুপুর পৌনে ১টার দিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে তার মরদেহ আনা হয়।

আইয়ুব বাচ্চুর জানাজায় শিল্পী, নাট্যকার, রাজনীতিবিদ, আইনজীবীসহ সর্বস্তরের লাখো মানুষ অংশ নেন।

জানাজায় আইয়ুব বাচ্চুর ছোট ভাই এরফান চৌধুরী বলেন, আইয়ুব বাচ্চু সব সময় মানুষকে সাহায্য করতেন। সাধারণ মানুষকে তিনি ভালোবাসতেন। পরিবারের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা ছিলো। সবাই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।

আইয়ুব বাচ্চুর জানাজার নামাজ পড়ান হাইকোর্ট মসজিদের ইমাম আবু সালেহ সাইফুল্লাহ। জানাজায় শিল্পী ফকির আলমগীর, নকীব খান, বিপ্লব, কবির বকুল, অন্তর শো বিজের পরিচালক স্বপন চৌধুরী প্রমুখ অংশ নেন।  

জানাজা অনুষ্ঠানের আগে ভক্তদের ভিড়ের কারণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বেগ পেতে হয়। জানাজার লাইনে দাঁড়ানোর জন্য বার বার অনুরোধ জানানো হয়। তবে ভক্তরা বাচ্চুর মরদেহের গাড়ির কাছে ভিড় করতে থাকে। পরে সঙ্গীত শিল্পী ফকির আলমগীর সবাইকে অনুরোধ করেন। আইয়ুব বাচ্চুর ছোট ভাই এরফানে চৌধুরীও ভক্তদের গাড়ির কাছ থেকে সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। সে কারণে জানাজা সম্পন্ন হতে দেরি হয়।

জানাজা শেষে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মগবাজারে তার নিজের স্টুডিও এবি কিচেনে। আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় জানাজা হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। দ্বিতীয় জানাজা শেষে শিল্পীর মরদেহ হিমঘরে রাখা হবে।
 শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর জানাজায় আগত অগণিত ভক্তরা | ছবি: রাজীন চৌধুরীআইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ শুক্রবার চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব ও ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তারা এলে চট্টগ্রামে শনিবার (২০ অক্টোবর) জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আইয়ুব বাচ্চু।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) মাত্র ৫৬ বছর বয়সে আইয়ুব বাচ্চু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারবাদক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক।

আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের এনায়েতবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ ইসহাক ও মা নূরজাহান বেগম। ১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে তাঁর পথচলা শুরু। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছিলেন সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট।

আইয়ুব বাচ্চুর অ্যালবাম এলআরবি বাজারে আসে ১৯৯২ সালে। এলআরবিই দেশের প্রথম ডাবল ও আনপ্লাগড অ্যালবাম প্রকাশ করে। সুখ, তবুও, ঘুমন্ত শহরে, ফেরারি মন, আমাদের বিস্ময়, মন চাইলে মন পাবে, অচেনা জীবন, মনে আছে নাকি নাই, স্পর্শ, যুদ্ধ এলআরবির জনপ্রিয় অ্যালবাম।

একক অ্যালবামেও ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছেন ক্ষণজন্মা এই শিল্পী। তার একক অ্যালবামের মধ্যে কষ্ট, সময়, একা, প্রেম তুমি কি, দুটি মন, কাফেলা, জীবনের গল্প উল্লেখযোগ্য। কিছু চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন আইয়ুব বাচ্চু।

পড়ুন
** 
শহীদ মিনারে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৮/আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা
টিআর/এইচএমএস/আরআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।