গুণী এই শিল্পীর অসুস্থতার খবর জানতে চাইলে তার বড় মেয়ে পুষ্প বাংলানিউকে বলেন, মা এখন কথা বলতে পারছেন না। চিকিৎসকরা মায়ের কিডনি এবং হার্টের সমস্যার কথা বলছেন।
তিনি আরও বলেন, দু’দিন ধরেই আমরা পরিবারের চার-পাঁচজন লোক মায়ের সঙ্গে আছি। হাসপাতাল থেকে খাবার দেওয়ার নিয়ম না থাকায় বাইরে থেকে কিনে খেতে হচ্ছে। যা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। পরিস্থিতির শিকার হয়ে কথাগুলো বলতে বাধ্য হচ্ছি।
‘কোন বা পথে নিতাইগঞ্জে যাই’, ‘পরাণের বান্ধব রে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে’, ‘নারীর কাছে কেউ যায় না’, ‘আমার ভাঁটি গাঙের নাইয়া প্রভৃতি গানের মাধ্যমে মাটি-মানুষের মন জয় করেন কাঙ্গালিনী সুফিয়া।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক ডিজি মুস্তাফা মনোয়ার তাকে কাঙ্গালিনী উপাধি দেন। তারপর থেকে সুফিয়া খাতুন বদল করে দেশব্যাপী কাঙ্গালিনী সুফিয়া নামে পরিচিত হন তিনি।
সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ৩০টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন গুণী এই লোকসংগীত শিল্পী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৮
ওএফবি/এএটি