এদিকে গত ১৩ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছেন। এবার ১৯ পদের জন্য ৬জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৪৪ জন পরিচালক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) বইছে উৎসবের আমেজ। এরই মধ্যে নির্বাচনের পোস্টার শোভা পাচ্ছে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে।
২০১৯-২০ মেয়াদের এই নির্বাচনে দুইটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। গুলজার-খোকন পরিষদের বিপরীতে লড়ছে বাদল-বজলুর পরিষদ। বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে দুই প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
সভাপতি পদপ্রার্থী মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, দুই বছর ধরে আমরা সফলতার সঙ্গে সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নে আমরা নিরলস পরিশ্রম করে আসছি। আশা করছি সদস্যরা এবারও আমাদের নির্বাচিত করবেন।
‘আমরা বিগত দিনে অনেকগুলো কাজ সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে এগিয়ে রেখেছি। এরমধ্যে সমিতির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আধুনিক সিনেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি, যা অনেকটা বাস্তবায়নের পথে। এছাড়া সিনেমা হলগুলোতে ই-টিকিটিং চালুর বিষয় দাবি জানিয়েছে এসেছি। সে প্রস্তাব মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে। কিন্তু প্রদর্শকরা এখনো গ্রহণ করেননি। ই-টিকিটিং না হলে প্রেক্ষাগৃহ থেকে প্রযোজকরা তাদের ন্যায্য অর্থ পাবেন না। যার ফলে সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
গুলজার আরও বলেন, নতুন মেয়াদে আমরা তিনটি বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছি। সরকারি খরচে সারাদেশে যাতে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। প্রথমে ৬৪ জেলায় ও পরবর্তীতে তিনশ’টি উপজেলায়। এরপর সেন্ট্রাল সার্ভারের মাধ্যমে সিনেমা প্রদর্শন ও ই-টিকিটিং চালু। এই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন হলে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি আমাদের সদস্যদেরও উন্নয়ন ঘটবে।
এদিকে সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সকলের মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করতে চান পরিচালক বাদল খন্দকার। সকলকে এক করে সিনেমার উন্নয়নে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
বাদল খন্দকার বলেন, আমি সিনেমার লোক। তবে ব্যবসায়িক কারণে দীর্ঘদিন সিনেমা পরিচালনা থেকে দূরে ছিলাম। এখন আবার নির্মাণ শুরু করেছি। মূলত ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়নের পাশাপাশি পরিচালকদের উন্নয়ন করাই লক্ষ্য নিয়েই আমার আসা। আমার বিশ্বাস নির্বাচনে সকালকে আমি পাশে পাবো।
তিনি আরও বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমার মনে হয়েছে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সবার মধ্যে সম্প্রীতির অভাব রয়েছে। একই পরিবারের মানুষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমি জয়ী হলে প্রথমেই আমার কাজ থাকবে সবার মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করা। হয়তো বিষয়টি এতো সহজ হবে না। তবুও আমি ও আমাদের পরিষদের সবাই বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ করতে চাই।
এবার সমিতির ভোটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুল লতিফ বাচ্চু। কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শফিকুর রহমান ও বিএইচ নিশান।
এছাড়া আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন কিংবদন্তি অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম। এ বোর্ডের সদস্য হয়েছেন আবু মুসা দেবু ও আজিজুর রহমান।
এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৬৫ জন। নির্বাচনে সভাপতি, মহাসচিবসহ মূল পদ ৯টি এবং নির্বাহী পরিষদের পদ ১০টি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
জেআইএম