বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান এবং আইসিবিএম’র প্রতিষ্ঠাতা ড. লীনা তাপসী খান বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
এ আয়োজনের প্রথম দিন নজরুলসঙ্গীত এবং দ্বিতীয় দিন রবীন্দ্রসঙ্গীতের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম দিনের (৮ মার্চ) আয়োজনে কিছুটা ভিন্নতা থাকছে। ঐদিন সকাল ১০টায় শুরু হবে উদ্বোধনী ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান। এ প্রতিযোগিতায় দেশের ৮টি বিভাগ থেকে আটজন প্রতিযোগি অংশ নিবে। এ আটজন থেকে সেরা তিনজনকে নির্বাচন করে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
আর দেশের ৮ বিভাগের আটজন প্রতিযোগিকে নির্বাচনের কাজটি করবে শিল্পকলা একাডেমি।
এ উৎসবে প্রতিযোগিরা রবীন্দ্র, নজরুল, লালনগীতি, লোক, বাউল, ভাটিয়ালি, আধুনিকসহ বাংলা সঙ্গীতের যেকোনো ঘরানার গান পরিবেশনের সুযোগ পাবে। খ্যাতনামা শিল্পীদের চেয়ে উদীয়মান শিল্পীদেরই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে এ উৎসবে। বিশেষ করে বাংলা গানের বিশেষ একটি ঘরানা নিয়ে নিয়মিত চর্চা-গবেষণা করছে, এমন শিল্পীদের এ আয়োজনে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে লীনা তাপসী খান বাংলানিউজকে বলেন, দুই দিনের সন্ধ্যার আয়োজনটা পঞ্চকবির গান দিয়ে সাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরে সিদ্ধান্ত পাল্টিয়ে নজরুল (প্রথম দিন) এবং রবীন্দ্রনাথের (দ্বিতীয় দিন) গান করার সিদ্ধান্ত নিই। কারণ গানের সঙ্গে আলোচনা পর্বও আছে, তাই এত বড় পরিসরে এবার করতে পারছি না।
বাংলা গানের ধারাকে সমৃদ্ধ করতেই ‘বাংলা গানের উৎসব’র উদ্যোগ নিয়েছে আইসিবিএম। দেশীয় সঙ্গীতের অগ্রগতির লক্ষ্যে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ড. লীনা তাপসী খান।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৭২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
ওএফবি