আমরা যখন ষাটের দশকে কাজ শুরু করি, তখনকার সঙ্গে আজকের সময়ের অনেক পার্থক্য। এখন শুধু অভিনয়কেই একটি ছেলে বা মেয়ে পেশা হিসেবে নিতে পারেন।
দীর্ঘ অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি বড় ও ছোট পর্দায় অভিনয় করে আসছেন। জয় করেছেন অসংখ্য দর্শকের হৃদয়। নারী দিবস উপলক্ষে নারীদের নানা সুযোগ-সুবিধা ও স্বাধীনতা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে। দিলারা জামান মনে করেন, নারীদের কর্মক্ষেত্রে সুযোগ এখন অনেক বেশি। প্রযুক্তির কল্যাণে এই সুযোগ ধীরে ধীরে আরও বিস্তার লাভ করছে। অভিনয়ের ক্ষেত্রেও চাইলেই নারীরা এখন স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সময় মানুষ অভিনয়টা নেগেটিভ ভাবে দেখতেন, সেটা এখন আসলে কেউ তেমন ভাবে দেখেন না। মেয়েরা চাইলে অভিনয় করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারছেন। এটা আসলে অনেক ভালো একটা দিক।
তার মতে নারীরা এখনো সব বিষয়ে পুরো স্বাধীন না। তবে আগের তুলনায় দেশের নারীরা অনেক এগিয়ে গেছেন। তিনি বললেন, যে মেয়েটি অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন ও সক্ষম, তার মতামত পরিবারের কাছে যতটুকু গুরুত্ব পায়; অন্য ক্ষেত্রে তা কম দেখা যায়। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নারীরা অন্যদের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা পান।
শহরে কাজের সুযোগ অনেক বেশি থাকলেও গ্রামে এখনো সেভাবে নারীদের কাজের সুযোগ কম বলে মনে করেন দিলারা জামান। পাশাপাশি গ্রামের নারীদের নিরাপত্তা কম বলেও মনে করেন তিনি। নানা সময় পত্রিকায় নারীদের নির্যাতনের খবর দেখি। এখনো অনেক জায়গায় গ্রামের মেয়েরা নিরাপদে স্কুলে যেতে পারে না, পড়াশোনা করতে পারে না। গ্রামের ক্ষমতাবানদের হাতে নির্যাতিত হয়।
সবশেষে আশাবাদ ব্যক্ত করে দিলারা বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নকে আমি সাধুবাদ জানাই। বহু বাধার মধ্যেও নারীরা দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেটা আসলেই অনেক ভালো লাগে। তবে আমি চাই, নারীদের যাতে আরও স্বাধীন ও নিরাপদভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়। দেশের অর্থনীতিতে আরও অবদান রাখতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯
জেআইএম/এসআইএস