শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে সপ্তাহব্যাপী উৎসবে প্রদর্শিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ১১টি চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে পর্দা নামলো শিশু নির্মাতাদের এ উৎসবের।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে সমাপণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, কবি কাজী রোজী, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোর্শেদুল ইসলাম, উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুন্নি মোর্শেদ'সহ বিশিষ্টজনেরা।
জাফর ইকবাল বলেন, বিশিষ্ট বিজ্ঞানি সত্যেন বোস একবার একটা গবেষণা প্রবন্ধ লিখে জার্নালে প্রকাশের জন্য ভারতে পাঠালে কর্তৃপক্ষ সেটি ছাপার যোগ্য নয় বলে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এরপর তিনি সেই লেখাটিই বিজ্ঞানি আইনস্টাইনকে দিয়ে জার্মান ভাষায় অনুবাদ করে একটি জার্মান জার্নালে প্রকাশের জন্য পাঠান। এরপর সেটি ওখানে প্রকাশিত হবার পর সারা পৃথিবীর মানুষ সত্যেন বোসের নাম জানলো। তাই বলবো, চলচ্চিত্র জমা দিয়ে যারা পুরস্কার পাওনি, তারা ব্যথিত হবে না। কোথাও না কোথাও এর মূল্যায়ন অবশ্যই হবে।
কাজী রোজী বলেন, এ শিশুদের মধ্যে এতো প্রগতীশীলতা দেখে নিজেকে মনে হয় আমিও ওদের একজন। চলচ্চিত্র মানব জীবনের অস্তিত্ব, অঙ্গীকার। সেই চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব শিশুদের আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আয়োজনে প্রদীপ্ত সাহা পরিচালিত 'সুপ্রভাত' চলচ্চিত্রকে ৩য়, প্রকৃতি প্রযুক্তি তুষ্টি পরিচালিত 'আই অ্যাম এ হিজড়া, গিভ মি সাম মানি' চলচ্চিত্রকে ২য় এবং আফ্রিদা মেহজাবিন পরিচালিত 'অ্যালাইভনেস' চলচ্চিত্রটিকে ১ম স্থানের সম্মাননা দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরো ৮টি পুরস্কার দিয়েছে আয়োজন সংগঠন। বিজয়ীদের প্রত্যেককে ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শেষে প্রদর্শনী হয় পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্রগুলো। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উৎসব পরিচালক আবির ফেরদৌস।
বাংলাদেশ সময়: ২১০১ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৯
এইচএমএস/এসএইচ