আর কঠিন এই কাজটি করে সফলও হয়েছেন প্রযোজক-অভিনেত্রী মোঙ্গা। হ্যাঁ তাদের ‘পিরিওড: অ্যান্ড অফ সেন্টেন্স’ শর্ট ফিল্মটি এবারের ৯১তম আসরে জিতে নিয়েছে চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস (অস্কার)।
অস্কার জয় করে এ প্রযোজক-অভিনেত্রী বলেন, শ্রম-প্রচেষ্টা আর প্রত্যাশার বাস্তবায়ন হলো অস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে। এ আনন্দ পেছনের সব দুরাশা দূর করে দিলো।
মোঙ্গা আরও বলেন, প্রত্যেকটা সিনেমার জন্য পৃথকভাবে টাকা জোগাড় করেছি। লক্ষ্য ছিলো যেকোনোভাবে টাকা সংগ্রহ করতেই হবে। আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে ‘হারামখোর’ সিনেমার জন্য প্রায় দেড় কোটি টাকা তুলেছিলাম।
এছাড়া ‘দ্য লাঞ্চবক্স’র সময়ে ফ্রান্স থেকে একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা যোগাড় করেছিলাম। ঐ সময় বৃষ্টির দিনে শুটিং হওয়ায় অধিক খরচের কারণে নিজের বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করেছিলাম। যেটা ছিলো আমার আমার একমাত্র বাড়ি।
এফআইসিসিআই ফ্রেমস ২০১৯-এর ‘আনঅ্যাপোলোজেটিক্যালি ইন্ডিয়ান: দ্য নিউ ব্রিড অফ স্বদেশী স্টোরিটেলার অফ দ্যা ইন্ডাস্ট্রি’ অনুষ্ঠানে এসে এ কথাগুলো বলেন গুনীত মোঙ্গা।
দিল্লি থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে হাপুর গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেন ২৫ বছর বয়সি রাইকা। যেটি সেরা তথ্যচিত্র হিসেবে জিতেছে অস্কার।
ভারতের গ্রাম অঞ্চলে ঋতুস্রাব নিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভ্রান্ত ধারণা এবং গ্রামের নারী-পুরুষকে সচেতন করার বিশেষ দিকগুলো ২৫ মিনিটের এ তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
ওএফবি