হ্যাঁ, গত ৪ মার্চ গাজীপুর জেলা স্টেডিয়ামে ‘স্বাধীন বাংলা কনসার্ট'র মাধ্যমে গানে তথা মঞ্চে ফিরলেন মিলা। মিলার মঞ্চে প্রত্যাবর্তনে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।
এ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে মিলা বলেন, গানে ফিরে বোঝলাম, দর্শক-শ্রোতাদের কাছে আমার নূন্যতম আবেদন ফুরিয়ে যাইনি। বরং বেড়েছে। দীর্ঘদিন পরে মঞ্চে ফিরে হাজার মানুষের উপস্থিতি দেখে নিজের মধ্যে অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করেছে। মনে হয়েছে, গানই আমার সব। গান ছাড়া আমি মূল্যহীন। আমি গানের সঙ্গেই থাকতে চাই। গান নিয়েই থাকতে চাই। আমি আর আমার ভক্ত-অনুরাগী এবং শ্রোতাদের বঞ্চিত করতে চাই না।
গান নিয়ে সামনে পরিকল্পনা কি? উত্তরে মিলা বলেন, আজীবন গান করে যেতে চাই। গানের পাশাপাশি সামনে মানুষের জন্য সরাসরি কাজ করার ইচ্ছে আছে।
সেটা কিভাবে? এর উত্তরে মিলার জবাব, দুই বছর বিয়ে, মামলা, বিচ্ছেদ এসব নিয়েই কেটে গেছে। মানসিকভাবে ছিলাম বিধ্বস্ত। এখনো রেশটা রয়ে গেছে। এখন নিজেকে শক্ত করছি। নিজেকে তৈরি করছি- মানুষের সেবা করার জন্য, তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে। খোলাখুলি করেই বলি- আমার ভিতরে একটা প্রতিশোধস্পৃহা কাজ করছে। সেটা থেকেই যাবে। এই সমাজে আমার মতো অসংখ্য মেয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছে। অবহেলিত হচ্ছে। নির্যাতিত হচ্ছে। আগামীতে এইসব মানুষের জন্য কিছু করতে চাই। কারণ নিজের জীবন থেকে অনেক কিছু শিখেছি। অন্যের কষ্টের তীব্রতা এখন আমি অনুবাধন করতে পারছি। তাই আমার জীবনের কঠিন-করুণ এই শিক্ষাকে কাজে লাগাতে চাই, বঞ্চিত নারীদের পাশে দাঁড়ানোর মাধ্যমে।
এখনো কিন্তু পরিস্কার হলো না- কিভাবে মানুষের সেবা করবেন! এবার ব্যাখ্যা দিয়ে মিলা বলেন, মানুষের সেবা কিংবা পাশে দাঁড়ানো জন্যে ইচ্ছে শক্তিই যথেষ্ঠ। আমার ইচ্ছে শক্তি প্রবল। আর সেই শক্তিকে শাণিত করার জন্যে কিছু পরিকল্পনা তো করছি ই। প্রয়োজনে সরাসরি রাজনীতিতে আসবো। মানুষের সেবা করার জন্যে তো নিজের অবস্থান আগে তৈরি করা লাগে। তার জন্যে নীতি ঠিক রেখে যা যা করা লাগে, সবই করবো।
দীর্ঘ ১০ বছরের প্রেমের অবসান ঘটিয়ে ২০১৭ সালের ১২ মে পারিবারিকভাবে বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মিলা ইসলাম। বিয়ের তিন দিন পর থেকেই দ্বন্দ্ব-বিবাদে যুক্ত তারা। দিনদিন বাড়তে থাকে দ্বন্দ্ব-বিবাদ। বিয়ের মাস চারেক পর এ বিষয়ে প্রকাশ্যে আসেন মিলা এবং নারী নির্যাতন-যৌতুকের অভিযোগে সানজারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
অবশ্য ভালোবেসে বিয়ে করা প্রিয় মানুষের সঙ্গে মান-অভিমান ভুলে দুইয়ে মিলে আবার এক হতে চেয়েছিলেন মিলা। কিন্তু সেটা একান্তই মিলার ইচ্ছে, একপাক্ষীক। সানজারির আপত্তির কারণে তা আর হয়নি।
মিলা তার অতীতকে ভুলে যেতে চান না। তবে পেছনে পড়ে থেকে নয়, সামনে এড়িয়ে যাবার লক্ষ্যে- অতীতকে লালন করবেন তিনি। আগামীতে বঞ্চিত নারীদের পাশে দাঁড়ানো মহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন দেশিয় এই রিয়েল রকস্টার।
স্টেজে মিলা (ভিডিও):
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৯
ওএফবি