ইতোমধ্যে মিমি তার বিরোধী প্রার্থীদের প্রচারের নিরিখে কয়েক যোজন পিছনে ফেলে দিয়েছেন বলে দাবি তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের।
একদিকে কলকাতায় যেমন রাজনৈতিক উত্তাপ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে, তেমনই গত কয়েকদিনে শহরের তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশ-পাশে ঘোরাঘুরি করছে।
ফলে প্রচারের মধ্যে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে প্রার্থী-কর্মীদের। তবে বিশ্রামের সময়টিকেও কাজে লাগাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী তথা প্রার্থী মিমি।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের চেনা পথ, অলিগলি, দোকান জেগে উঠেছে তার স্মৃতির সরণিতে! শিক্ষা জীবনের প্রতিদিনের চলা ফেরার পথে মিমি হাঁটছেন আজ এক অন্য পরিচয়ে, তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে।
তাই বিশ্রাম আজ আর কোনো শীততাপ নিয়ন্ত্রিত মেকআপ ভ্যান কিংবা লোকচক্ষুর আড়ালে নয়; রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে বসে চায়ের চুমুকে গলা ভিজিয়ে নিচ্ছেন নায়িকা। সময়ের অভাবে খিদে মেটাচ্ছে ওটস বা ব্রাউন ব্রেড নয়, বেকারির বিস্কুটে।
বিনোদন জগতে পাঁচতারা হোটেলের পরিষেবায় অভ্যস্ত মিমিকে একাধিকার দেখা গেলেও আজ তিনি সাধারনের সঙ্গে মিশেছেন ভোটের তাগিদে। তাই মধ্যবিত্ত বাঙালির মতো চায়ের দোকানে বসেই জিরিয়ে নিতে হচ্ছে তাকে।
কখনও আনমনে চায়ের ভাঁড়ে চুমুক। বাকিদের মতো নিজেই কাঁচের বোয়েম খুলে নিয়ে নিচ্ছেন পছন্দের বিস্কুট।
জনগণের কাতারে নায়িকার এমন মিশে যাওয়ায় অবাক কর্মী-সমর্থকসহ পথ চলতিরাও। মিমির অনুরোধে সঙ্গে থাকা নেতা মন্ত্রীরাও বসে পরছেন দোকানেরই বেঞ্চে।
কখনও দোকানির সঙ্গে, কখনও দোকানে বসা লোকজনের সঙ্গে চলছে নায়িকার বাক্যালাপ। এলাকার মানুষ বলছেন, মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই পাশের বাড়ির মেয়ে হয়ে উঠেছেন টালিগঞ্জের অন্যতম সেরা নায়িকা মিমি। দলের আশা এর ইতিবাচক প্রভাব অবশ্যই পড়বে ভোটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
এমএ/