লাশবাহী গাড়িতে করে শেষবারের মতো বর্ষীয়ান এই অভিনেতা এলেন দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে (বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন)। রোববার (০৭ এপ্রিল) এই প্রিয় মানুষ ও সহকর্মীকে এক নজর দেখতে এফডিসিতে ছুটে আসেন সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, আলমগীর, জায়েদ খান, চিত্রপরিচালক, অভিনেতা অমিত হাসান, সম্রাট, আলীরাজ, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা, নাসরিনসহ অনেকে।
সবাই অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রিয় 'টেলি ভাই'কে বিদায় জানালেন। যার সঙ্গ এতদিন তাদের আনন্দিত করতো, আজ তার নিথর দেহ দেখে সবাই কেঁদেছেন।
টেলি সামাদের সঙ্গে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফারুক। তিনি বলেন, টেলি আর আমি শুধু একসঙ্গে কাজই করিনি। ও ছিল আমার ভাইয়ের মতো। আমাদের অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে। অনেক গুণী শিল্পী ছিল সে। কিন্তু আজ পর্যন্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেল না। মন থেকে বলছি, আমাকে না দিয়ে টেলিকে যদি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি দেওয়া হতো তাহলে আমি অনেক খুশি হতাম। চিত্রনায়িকা অঞ্জনা বলেন, টেলি ভাই সবাইকে হাসাতেন। কিন্তু ওনার ভেতর অনেক কষ্ট ছিল। সবসময় মানুষের সঙ্গে সুন্দর করে কথা বলতেন। অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি শুধু অভিনয় করতেন না, গান গাইতেন, অনেক সুন্দর ছবিও আঁকতেন। তার চলে যাওয়ায় অনেক কষ্ট লাগছে। গুণী শিল্পীরা সবাই একে একে চলে যাচ্ছেন। আমরা কাকে নিয়ে থাকবো? তার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
আলমগীর বলেন, আমরা কখনো তাকে টেলি সামাদ বলে ডাকতাম না, টেলি বলেই ডাকতাম। খুব ভালো মানুষ ছিল সে। সবাইকে একদিন যেতে হবে, সেও চলে গেলো। ওনার জন্য দোয়া করবেন। রোববার বেলা ১২টায় এফডিসিতে টেলি সামাদের চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এখন মরদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুন্সিগঞ্জে, তার নিজ গ্রাম নয়াগাঁওতে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে টেলি সামাদকে চিরশায়িত করা হবে।
প্রবীণ অনেক শিল্পী টেলি সামাদের জানাজায় অংশ নিলেও আসেননি তরুণ প্রজন্মের শিল্পীরা।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৯
জেআইএম/ওএফবি
আরও পড়ুন
**বিএফডিসিতে টেলি সামাদের জানাজা সম্পন্ন
**মুন্সিগঞ্জে বাবা-মায়ের পাশে শায়িত হবেন টেলি সামাদ
**চলে গেলেন টেলি সামাদ