এবার মাঠে নামলেন সিনেমা-টেলিভিশনের শিল্পী, পরিচালক ও কলাকুশলীরা। হ্যাঁ, শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র করপোরেশনের (বিএফডিসি) সামনে রাফি হত্যার দাবিতে মানববন্ধন করেন শিল্পীরা।
মানববন্ধনে শিল্পী ও কলাকুশলীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রনায়ক আলমগীর, নাট্যজন সারা যাকের, ডিরেক্টরস গিল্টের সাধাররণ সম্পাদক এস এ হক অলিক, শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুল ইসলাম সাচ্চু, আলীরাজ, প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম, রিয়াজ, চয়নিকা চৌধুরী, রোকেয় প্রাচী, অঞ্জনা প্রমুখ।
মানববন্ধবে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডিরেক্টর গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক বলেন, এদেশের মাটিতে আমরা আর এমন মৃত্যু দেখতে চাই না। আমরা বিচার চাই। এমন বিচার হোক, যাতে কেউ আর আগামীতে এমন কুকর্মে লিপ্ত হতে না পারে।
রোকেয়া প্রাচী বলেন, নুসরাত হত্যার আসামী এবং এর সঙ্গে জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অপরাধের শাস্তি অপরাধীকে দেওয়া হোক। না হলে এই লজ্জা আমাদের বারবার বয়ে বেড়াতে হবে।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।
এ সময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা যৌন হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের জন্য নুসরাতকে চাপ দেয় তারা।
পরে আগুনে ঝলসে যাওয়া নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসায় গঠিত হয় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।
সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোরও পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু সবার প্রার্থনা-চেষ্টাকে বিফল করে মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) রাতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ‘প্রতিবাদী’ নুসরাত।
এদিকে ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগ, ২৭ মার্চ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা তার কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তারই জেরে মামলা করায় নুসরাতকে আগুনে পোড়ানো হয়। ওই মামলার পর সিরাজ উদ-দৌলাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
ওএফবি