কিন্তু সমস্যা হলেও অনুষ্ঠানে তিনি যাবেন। এককথায় নাছোড়বান্দা।
এরপর রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সিলেট থেকে ট্রেনে ঢাকায় ফেরার পথে তিনি একাধিকবার বমি করতে থাকেন। এ সময়ই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাকে ভর্তির বিষয়টি ফোনে নিশ্চিত করেন তৃপ্তি কর।
এরপর রাত ৮টার দিকে গুণী এই শিল্পীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হয় সুবীর নন্দীর। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় বড় ধরনের কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে হয়নি।
এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। এখন তিনি লাইফ সাপোর্টেই আছেন। ৭২ ঘণ্টা যাওয়ার পর তার পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে জানা যাবে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।
একুশে পদক প্রাপ্ত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দীর অসুস্থতার বিষয়ে বাংলানিউজকে এ তথ্যগুলো দিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠজন তৃপ্তি কর।
৬৬ বছর বয়সী সুবীর নন্দী দীর্ঘদিন ধরেই শ্বাসকষ্ট, হার্ট ও কিডনি সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা ধরনের রোগে ভুগছিলেন। এর আগে তার ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে। ল্যাবএইড হাসপাতালে তার নিয়মিত ডায়ালাইসিস চলছিলো।
সঙ্গীত অঙ্গনে চার দশকের ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন গুণী এই শিল্পী। সঙ্গীতে অবদানের জন্য এ বছরই তাকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার।
১৯৫৩ সালের ১৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় সুবীর নন্দীর জন্ম।
সুবীর নন্দীর কণ্ঠে জনপ্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘দিন যায় কথা থাকে’, আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, ‘বন্ধু তোর বরাত নিয়া’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’।
‘প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘ভালোবাসা কখনো মরে না’, ‘সুরের ভুবনে’, ‘গানের সুরে আমায় পাবে’ প্রভৃতি সুবীর নন্দীর একক অ্যালবাম।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
ওএফবি