এই মেগা সিরিয়ালের চিত্রনাট্য যৌথভাবে লিখেছেন ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দি বিভাগের দুই সহকারী অধ্যাপক মিলন রাণী জমাতিয়া এবং ড: জয় কৌশল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিশালায় বসে চিত্রনাট্য সম্পর্কে লেখিকা মিলন রাণী জমাতিয়া বাংলানিউজকে এ তথ্য দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ত্রিপুরা রাজ্যকে কেন্দ্র করে তথ্যচিত্র নির্মিত হলেও এটিই প্রথম হিন্দি ফিকসন মেগা সিরিয়াল। এতে ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতিদের জীবনশৈলী, নিত্য দিনের ব্যবহার সামগ্রী, পোশাক পরিচ্ছেদ প্রভৃতি বিষয় দারুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যেহেতু এই ধারাবাহিকের ভাষা হিন্দি তাই মূল ভূখন্ডের মানুষের কাছে তা বুঝতে সুবিধা হবে এবং আরও ভালোভাবে ত্রিপুরা রাজ্যকে ভারতের হিন্দি বলয়ের লোকেরা জানতে পারবে।
ধারাবাহিকটি মোট ১৩টি পর্বে সম্পন্ন হবে। ১১৩টি চিত্রনাট্য থেকে এই কাহিনিকে নির্বাচন করেছে দিল্লী দূরদর্শন কর্তৃপক্ষ (ডি ডি)।
এই মেগা ধারাবাহিকটির নির্দেশনার দায়িত্বে রয়েছে আরো এক খ্যাতনামা পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার রবিকান্ত। তার লেখা অন্যতম পরিচিত এক হিন্দি ধারাবাহিক হলো ‘কিউ কি সাস ভি কভি বহু থি’- যা এক সময় ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘স্টার প্লাস’ মাতিয়ে ছিলো। এই ধারাবাহিকের বহু তুলসী বিরানীর ভূমিকায় ছিলেন স্মৃতি ইরানী। এর পরিচিতি থেকে তিনি এখন ভারত সরকারের মন্ত্রী।
রবিকান্ত এ মেগা সিরিয়াল প্রসঙ্গে বাংলানিউজের বলেন, এটি দুই গোষ্টির মধ্যে প্রেম ও বিয়ের কাহিনীকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন মুম্বাইয়ের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা রয়েছেন, তেমনি রয়েছেন ত্রিপুরা রাজ্যের বহু শিল্পীরা। ত্রিপুরার গ্রামীন জীবনের খণ্ডচিত্র দেশব্যাপী তোলে ধরার একটা প্রয়াস চালানো হয়েছে এই সিরিয়ালে। ত্রিপুরার জনজাতি যুবতীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন হাওবাম হেমলতা দেবী।
এর গল্পে দেখা যাবে, ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ী এলাকার এক অতি সাধারণ জনজাতি পরিবারের মেয়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে স্কুল কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে আগরতলায়। এখানের জীবন যাপন দেখে সে অবাক।
কিছু দিন অনেকটা ভয়ের মধ্যে কাটলেও ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। এর মধ্যে বন্ধুত্বগড়ে উঠে আগরতলায় ব্যবসার জন্য আসা এক মাড়োয়ারি ছেলের সঙ্গে। ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব মজবুত হতে থাকে। এক সময় বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। কিন্তু গুড়া মাড়োয়ারি পরিবার এই ভালোবাসা মানতে নারাজ।
এদিকে শহুরে ধনী ব্যবসায়ীর ছেলে যেমন সহজ সরল মেয়েটিকে ছাড়া থাকতে পারবে না, তেমনি মেয়েটিও তার প্রেমিককে হারাতে চাই না। তাই তারা কাউকে না জানিয়ে নিজেরা লুকিয়ে বিয়ে করে ফেলে। কিন্তু ব্যবসায়ী পরিবারটি এ বিয়ে মানতে নারাজ। এর পরই শুরু হয় লড়াই।
পরের ঘটনা জানার জন্য সকলকে চোখ রাখতে হবে ডি ডি অরুনপ্রভা টেলিভিশন চ্যানেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৯
এসসিএন/ওএফবি