রোববার দুপুরে এটিএম শামসুজ্জামানের ছোট ভাই ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক সালেহ জামান সেলিম বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর আগে ওনার (এটিএম শামসুজ্জামান) পিত্তথলিতে একটি অপারেশন হয়েছিল।
‘সবার দোয়ায় অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত। আজ তাকে (রোববার) কেবিনে দেওয়া হতে পারে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্য তিনি বাসায় ফিরতে পারবেন,’ যোগ করেন সালেহ জামান সেলিম।
মলত্যাগজনিত সমস্যার কারণে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত ১১টায় রাজধানীর গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে এটিএম শামসুজ্জামানকে ভর্তি করা হয়। পরদিন সকালে তার অবস্থা অবনতির দিকে গেলে জরুরি ভিত্তিতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। গুণী এ অভিনেতার চিকিৎসা চলছে প্রফেসর ডা. রাকিব উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।
তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৯
জেআইএম