মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গুণী এই অভিনেতাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। এখন তার অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে এবং বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ১১টায় তার ফুসফুসের পরীক্ষা হয়েছে বলে তার ছোটো ভাই শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের পরিচালক সালেহ জামান সেলিম জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শারীরির অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আজ সকাল ১১ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. এ কে এম মোশারফ হোসেন এসে তার ফুসফুসের পরীক্ষা করেছেন। এখন আমরা এই রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। আর এই সমস্যার কারণেই তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া।
মলত্যাগজনিত সমস্যার কারণে ২৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে এটিএম শামসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে তার অবস্থা অবনতির দিকে গেলে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে এটিএম শামসুজ্জামান জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করে ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। প্রথম চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ‘জলছবি’ সিনেমায়। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন বর্ষীয়ান এ অভিনেতা। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জলছবি, জীবন তৃষ্ণা, স্বপ্ন দিয়ে ঘেরা, যে আগুনে পুড়ি, মাটির ঘর, মাটির কসম, চিৎকার ও লাল কাজল ইত্যাদি।
তবে ১৯৬৫ সালে অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের সিনেমায় অভিষেক ঘটে। ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ সিনেমায় খলনায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। সিনেমার পাশাপাশি অসংখ্য খণ্ড নাটক ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য এ অভিনেতার একমাত্র পরিচালিত সিনেমা ‘এবাদত’। এখন পর্যন্ত পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ কিংবদন্তি। কাজী হায়াতের ‘দায়ী কে’ সিনেমার জন্য দুটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান তিনি। এরপর ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’ এবং ‘চোরাবালি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য একই পুরস্কার লাভ করেন এটিএম শামসুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৯
ওএফবি