আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষে ফিলিপাইন সরকারের পক্ষ থেকে উৎসবে সরাসরি আমন্ত্রণ পেয়ে ২৫ এপ্রিল দেশটিতে যায় বাংলাদেশের নাচের দলটি।
২৬ এপ্রিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, প্যারেড ও রেড কার্পেট আনুষ্ঠানিকতার পর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমি পূরব দেশের পুর: নারী’ গানে নৃত্য পরিবেশন করেন তুরঙ্গমীর শিল্পীরা।
২৭ এপ্রিল ড্যান্স আউটরিচের অংশ হিসেবে ওলোটালিয়া দ্বীপ ভ্রমণ করে সেখানে ‘কমলা সুন্দরী’ কোরিওগ্রাফির মঞ্চায়ন করেন তুরঙ্গমীর শিল্পীরা। ওইদিন সন্ধ্যায় উৎসবের মূল ভেন্যু কেপিজ প্রভিন্সিয়াল পার্কে ফের ‘কমলা সুন্দরী’ মঞ্চায়িত হয়।
২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের দিন আমন্ত্রিত সব আন্তর্জাতিক ও ফিলিপিনো দলের দল প্রধানদের পরিচালনায় উৎসবের বৃহত্তম ইউনিটি ড্যান্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন পূজা। সন্ধ্যায় কেপিজ প্রভিন্সিয়াল পার্কে তুরঙ্গমীর প্রযোজনা ‘অনামিকা সাগরকন্যা’র অংশ বিশেষ মঞ্চায়ন ও উৎসবের স্মারক গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই উৎসবে তুরঙ্গমীর পরিবেশনা।
বাংলাদেশ ছাড়াও উৎসবে অংশগ্রহণ করেছে বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, জাপান, মালয়েশিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও স্বাগতিক ফিলিপাইন। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানের উৎসবটির আয়োজন করেছে ফিলিপাইনের ন্যাশনাল কমিশন ফর কালচার এন্ড দ্য আর্টস। সহ আয়োজক হিসেবে ছিল ইউনেস্কো, আই টি আই এবং কেপিজ প্রভিন্স সরকার।
উৎসব পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন ফিলিপাইনের নৃত্য বিষয়ক জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড.শার্লী হালিলি ক্রুজ। সম্মানজনক এই আয়োজনে টানা দ্বিতীয়বারের মত বাংলাদেশের নাচের দল তুরঙ্গমী অংশ নিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
জেআইএম