অপারেশন শেষে এ অভিনেতাকে তিন দিন হাসপাতালে থাকতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে থাকতে পারেননি।
এ প্রসঙ্গে অভিনেতা বাবার বাংলানিউজকে বলেন, হাসাপাতালে এক দিন থাকলে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা বিল আসে। এ খরচ বহন করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। আমাকে এক মাসের বিশ্রামে থাকতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে দুদিন পরপর পায়ের পরীক্ষার জন্য যেতে হচ্ছে হাসপাতালে। আর্থিক সমস্যা না থাকলে তো হাসপাতালেই থেকে যেতাম।
মিডিয়ার কেউ কি আপনার খোঁজ-খবর নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ অভিনেতা বলেন, খোঁজ নিচ্ছে অনেকেই। কিন্তু আমি তো আর কারো কাছে হাত বাড়াতে পারি না। মুখ খুলে বলতে পারছি না অনেক কথা। আর কি বলবো, আমার জন্য দোয়া করবেন।
বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার পাশাপাশি সম্প্রতি গ্যাংরিন (পায়ে পচন) সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করায় ৩০ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দীর্ঘদিন ধরেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্ট ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন শক্তিমান এ খল অভিনেতা।
এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ফুসফুসের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইস্কাটনের হলি ফ্যামিলি রেডক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন ৬৮ বছর বয়সী এ অভিনেতা।
আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘বাংলার মুখ’ সিনেমার মাধ্যমে নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন বাবর। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন খলনায়ক হিসেবে।
এক যুগ আগে মনোয়োর হোসেন ডিপজল’র ‘তের গুণ্ডা এক পাণ্ডা’ সিনেমায় সবশেষ অভিনয় করেছিলেন বাবর।
খলনায়ক হিসেবে বাবরের যাত্রা শুরু হয় নায়করাজ রাজ্জাক প্রযোজিত ও জহিরুল হক পরিচালিত ‘রংবাজ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে। এরপর তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
বাবর ‘দাগী’ নামের একটি সিনেমা প্রযোজনা করেছিলেন। পরিচালনা করেছিলেন একমাত্র সিনেমা ‘দয়াবান’।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৯
ওএফবি