সুবীর নন্দীর চিরবিদায়ের লগনে জানা যাক বাংলা সংগীতাঙ্গনকে তার দেওয়া আড়াই হাজারেরও বেশি গানের সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০টি গানের কথা।
১) যদি কেউ ধুপ জ্বেলে যায়: ১৯৭০ সালে ঢাকা বেতার কেন্দ্রে প্রচারিত হয় সুবীর নন্দীর গাওয়া এই গানটি।
২) দিন যায় কথা থাকে: ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ সিনেমায় কণ্ঠ দেওয়ার মধ্য দিয়ে প্লেব্যাক করার সুযোগ লাভ করেন সুবীর নন্দী। তবে ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দিন যায় কথা থাকে’ সিনেমার শিরোনাম গানটি সুবীর নন্দীকে এনে দেয় তুমুল জনপ্রিয়তা। এই গানই যেন বাংলা সংগীতাঙ্গনে তার জন্য বিছিয়ে দেয় লালগালিচা।
৩) ও মাস্টার সাব: ১৯৭৮ সালে কালজয়ী বাংলা সিনেমা ‘অশিক্ষিত’ এর বিখ্যাত ‘ও মাস্টার সাব আমি দস্তখত শিখতে চাই’ গানটি ছিল সুবীর নন্দীর কণ্ঠের অন্যতম জনপ্রিয় গান।
৪) পাখিরে তুই দূরে থাকলে: সুবীর নন্দী এই তুমুল জনপ্রিয় গান গেয়েছেন ‘লাল গোলাপ’ সিনেমায়। তার ‘পাখিরে তুই দূরে থাকলে’ গানটি এখনো মুখে মুখে শোনা যায়।
৫) কত যে তোমাকে বেসেছি ভাল: ১৯৮৬ সালে ‘উছিলা’ সিনেমায় গাওয়া ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভাল’ সুবীর নন্দীর জনপ্রিয়তাকে পৌঁছে দেয় আকাশছোঁয়া জায়গায়।
৬) আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়: ১৯৮৪ সালে আলমগীর কবিরের ‘মহানায়ক’ সিনেমায় ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়, তবু কেন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়’ গানটিও বেশ সাড়া ফেলে তখনকার দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে। শুধু তাই নয়, এই গানটিই সুবীর নন্দীকে এনে দেয় প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
৭) পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই: ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’ও জনপ্রিয়তা পায় সমান তালে। লোকমুখে ঘুরতে থাকে এই গানগুলো।
৮) তুমি এমনই জাল পেতেছো সংসারে: ‘শুভদা’ সিনেমায় গাওয়া এই গানটি সুবীর নন্দীকে এনে দেয় দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
৯) একটা ছিল সোনার কন্যা: নন্দিত কথাসাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমায় ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’ কথার গানটি সুবীর নন্দীকে শুধু তৃতীয় জাতীয় পুরস্কারই এনে দেয়নি; বরং তাকে বাংলা সংগীতাঙ্গনে অমরত্বের স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
১০) ও আমার উড়াল পংখী রে: ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ সিনেমারই আরেক গান ‘ও আমার উড়াল পংখী রে’ সমানতালে জনপ্রিয়তা পায়, ছড়িয়ে পড়ে লোকমুখে। নিজ কণ্ঠে গাওয়া এই গানের মতোই যেন উড়াল দিয়ে চলে গেলেন চারবার পুরস্কার পাওয়া কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৯ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
এইচএ/
** সুবীর নন্দী আর নেই