মা দিবসে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে ফারহানা সানজিদা আলীর ছোট মেয়ে অভিনেত্রী মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া এমনটিই জানান। তিনি বলেন, ‘মা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
মা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরই কেক কেটে ও মাকে গিফট দেন টয়া। এবারও বিশেষ পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তার ভাষ্যে, ‘ছোটবেলায় মা দিবস এলে নিজের হাতে কার্ড তৈরি করে গিফট আকারে মাকে দিতাম। তিনি বেশ খুশি হতেন। এবার ঈদের নাটকের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছি। তাই সকালে বের হয়ে রাতে বাসায় ঢুকতে হচ্ছে। মাকে সে ভাবে সময় দিতে পারছি না। তবে মায়ের জন্য গিফট ঠিকই রেডি করেছি। শুটিংয়ের শত ব্যস্ততার মধ্যেও মায়ের উপহার তার হাতে পৌঁছে দিয়েছি। ’উপার্জনক্ষম হওয়ার পর থেকে মা’র স্বপ্ন পূরণ করার স্বপ্ন দেখেন টয়া। তার ভাষ্যে, মা’র সবগুলো স্বপ্ন আমি পূরণ করতে চাই। এরমধ্যে তার ছোট একটি স্বপ্ন পূরণ করেছি। একটি গাড়ি গিফট করেছি। আশা করছি ভবিষ্যতে কঠোর পরিশ্রম করে নিজের অর্জিত অর্থ দিয়ে মায়ের বড় বড় স্বপ্নগুলোও পূরণ করতে পারবো। ’
টয়ার শৈশব কেটেছে রাঙ্গামাটিতে। তিনি যে স্কুলে পড়তেন সে স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন তার মা। তখনকার মজার একটি স্মৃতি স্মরণ করে টয়া বলেন, ‘রাঙ্গামাটিতে আমি যে স্কুলের ছাত্রী ছিলাম, মা সে স্কুলে ইতিহাস পড়াতেন। মা শিক্ষিকা হওয়াতে আমার মধ্যে সবসময় সাহস কাজ করতো। পড়াশোনা না করলেও কেউ কিছু বলবে না, এমনটা চিন্তা করতাম! তবে একদিন ক্লাসে মা আমাকে পড়া ধরলেন, কিন্তু আমি পারিনি। তাই মায়ের হাতে আমাকে মার খেতে হলো। এরপর থেকে নিয়মিত পড়া শিখতাম। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো আর কখনই মা ক্লাসের আমাকে মধ্যে পড়া ধরেননি। কারণ আমি যে বাসায় পড়া শিখতাম সেটা তিনি দেখতেন। ’
মা-বাবার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে টয়া বলেন, ‘আসলে কখনো সেভাবে করে বলা হয় না, তাদের কত ভালোবাসি। নিঃস্বার্থভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা আমার মা ও বাবার জন্য। তাদের জন্য আমি কিছু করতে পারছি ও করার চেষ্টা করছি। আল্লাহর কাছে তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৯
জেআইএম