দুবাইয়ের প্রায় ১৬টি মনোরম লোকেশনে ৫ দিনব্যাপী এ শুটিংয়ে অংশ নেনে চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ, অভিনেত্রী সাদিয়া নাবিলা, জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী, অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ও ইরেশ জাকের। এছাড়াও ছিলেন কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশী এবং আরবীয় অভিনেতা।
সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান কপ ক্রিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুবাইয়ের প্রচণ্ড দাবদাহে মধ্যে মরুভূমির তপ্ত বালুর উপর চলে একাধিক অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং। মরুভূমির প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে পুরো শুটিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ইউনিটকে বেশ বেগ পেতে হয়। প্রচণ্ড বালুঝড় আর উত্তপ্ত বালু প্রতিকূলতা উপেক্ষা করার কোন উপায় ছিল না।
শুটিং প্রক্রিয়াটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে দুবাইয়ের বেশ ক’জন স্ট্যান্টম্যান এবং অভিনেতাকে অ্যাকশন দৃশ্যে ব্যবহার করা হয়। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি দর্শকদের কাছে বেশ উপভোগ্য হবে বলে নির্মাতাদের বিশ্বাস।
এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ বলেন, ‘মরুভূমিতে এতটা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শুটিং করার সময় শুধু একটি কথাই মনে হয়েছে যে, দর্শকরা এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করবেন। তাছাড়া আমি নিজেও আমাদের দেশীয় সিনেমায় এরকম কিছু মুহূর্ত বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করতে পেরে পুলকিত ছিলাম। ’
পরিচালক সানী সানোয়ার বলেন, দেশীয় সিনেমার এই ছোট বাজারের জন্য অত্যন্ত সীমিত বাজেটে সিনেমা নির্মাণ করা খুব দুরহ। কেননা স্বল্প বাজেটে সিনেমায় মজা খুব কম থাকে। তবুও আমরা ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমায় দুবাইয়ের শুটিং পর্বে একটি বড় অংকের বাজেট খরচ করেছি। এটি অবশ্যই আমাদের একটি উচ্চাবিলাসী উদ্যোগ। তবে আমাদের টার্গেট দর্শকদের মন জয় করে এই খরচ উঠিয়ে নিয়ে আসা।
সাদিয়া নাবিলার বলেন, স্বপ্নের শহরে স্বপ্নের সিনেমার শুটিং আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে। বাকিটুকু দর্শকদের পছন্দের উপর ছেড়ে দিলাম।
বাংলাদেশের প্রথম পুলিশ অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ’ঢাকা অ্যাটাক’র পর ‘মিশন এক্সট্রিম’ একই টিমের দ্বিতীয় সিনেমা। ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার বেশ কিছু লোকেশনে গত ২০মার্চ থেকে ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়ে চলে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করছেন তাসকিন আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ, হাসান ইমাম, সুমিত সেন গুপ্ত, মাজনুন মিজান, মনোজ প্রামাণিক, সৈয়দ আরেফ, হায়দার আলী, সুদীপ, দীপু ইমাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
জেআইএম