সোমবার (১০ জুন) বেঙ্গালুরুতে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
শুধু নাটক-সিনেমায় নয়, সাহিত্যেও ছিলো তার অবাধ বিচরণ। মারাঠি নাটকের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন কারনাড। নাটক-সিনেমা পরিচালনার পাশাপাশি চিত্রনাট্য লেখার কাজটিও করেছেন সমানতালে।
১৯৭১ সালে কন্নড় ছবি ‘বংশবৃক্ষ’র হাত ধরে পরিচালক হিসেবে যাত্রা করেন কারনাড। এ সিনেমার মাধ্যমেই সেরা পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পান তিনি। ১৯৭৪ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয় তাকে। ১৯৯২ সালে পান পদ্মভূষণ পুরস্কার।
এছাড়াও আরও নয়টি জাতীয় পুরস্কার রয়েছে তার ঝুলিতে। এর মধ্যে কোনটি চিত্রনাট্যকার হিসেবে, কোনটি পরিচালক হিসেবে। বেশ কয়েকটি সিনেমাতে অভিনয়ও করেছেন কারনাড। এর মধ্যে হিন্দি সিনেমা ‘ডোর’, ‘ইকবাল’, ‘এক থা টাইগার’, ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ প্রভৃতি।
অসম্প্রদায়িক চেতনায় বরাবরই সোচ্চার ছিলেন কারনাড। বারবার তার নাটকে উঠে এসেছে মানুষ ও মানবতার কথা। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তিনি মুখ খুলছিলেন। তার নাটকের মূল বিষয় হিসেবে বারবার উঠে এসেছে সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা, অবক্ষয় ও রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলি।
বলা হয়, মারাঠি নাটক তার হাত ধরেই আজকের অবস্থানে পৌছেছে। অর্থাৎ কারনাডের দেখানো পথেই আজ এতটা জনপ্রিয়তায় পৌছেছে মারাঠি নাটক৷
নাটক-সিনেমার পাশাপাশি সাহিত্যেও অসামান্য অবদান রেখেছেন তিনি। যে কারণে সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পুরস্কার ‘জ্ঞানপীঠ’ লাভ করেছেন কারনাড। এছাড়া কালিদাস সম্মান, কন্নড় সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার’র পাশাপাশি আরও অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি। লস অ্যাঞ্জেলসের ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকেও সম্মানিত হয়েছেন গিরিশ কারনাড। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পরেছে শিল্পমহল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৯
ওএফবি