রোববার (১৪ জুলাই) মহাকাল প্রতিষ্ঠার তিন যুগ পূর্তি করেছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় দলটি জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আয়োজন করেছে আলোচনা, কোরিওগ্রাফি, পথ নাটক এবং নতুন প্রযোজনা মহাপ্রয়াণের শোক আখ্যান ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’র মঞ্চায়ন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আনন জামান রচিত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফর্মেন্স স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আশিক রহমান লিয়নের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’ মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ৪০তম প্রযোজনা।
নাটকটিতে অভিনয় করছেন কবির আহামেদ, ফারুক আহমেদ সেন্টু, মোঃ শাহনেওয়াজ, মনিরুল আলম কাজল, পলি বিশ্বাস, সামিউল জীবন, রাজিব হোসেন, শিবলী সরকার, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, তারেকেশ্বর তারোক, আহাদুজ্জামান কলিন্স, সুমাইয়া তাইয়ুম নিশা, আরাফাত আশরাফ, স্বপ্নিল, আজহার, পিয়াসী জাহান, কাজী তারিফ, তাজুল রনি, রেদোয়ান, সিয়াম রাব্বি, জুনায়েদ, নূর আকতার মায়া, রাফি, চৈতী সাথী, রিফাত হোসেন জুয়েল, ইকবাল চৌধুরী, মীর নাহিদ আহসান ও মীর জাহিদ হাসান।
‘শ্রাবণ ট্র্যাজেডি’র কাহিনী বয়ানে সরাসরি ইতিহাস ও প্রেক্ষাপট ব্যবহার না করে ইতিহাসের চরিত্র সকল ও ঘটনার বর্তমান ব্যাখ্যামূলক প্রতিভঙ্গী রচিত হয়েছে। খুনিদের দাঁড় করানো হয়েছে রঙ্গমঞ্চের কাঠগড়ায়।
এ প্রসঙ্গে নাট্যকার আনন জামান বলেন, ‘শ্রাবণ ট্রাজেডি’ নাটকে সত্য বলার জন্য সেই সকল খুনিদের ধূসর অতীত থেকে তাড়িয়ে আনা হয়েছে বর্তমানের রঙ্গমঞ্চে। ক্ষমতা লোভী রাজনৈতিক সামরিক প্রভুদের ষড়যন্ত্রের সকল সুতা একটি একটি করে খুলে নিগূঢ় সত্য উন্মোচনের উদ্দেশ্যে রচিত হয়েছে নাটকটি। কোন প্রকার রাজনৈতিক অভিসন্ধি সিদ্ধির জন্য নয়- ইতিহাস পাঠের জটিল আর্বত থেকে নিরপেক্ষ সত্য রচনা করবার চেষ্টা করেছি। ’
নাটকটি নির্মাণে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
১৯৮৩ সাল থেকে নিয়মিত নাট্যচর্চারত সংগঠন হিসাবে নিজেদের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছে মহাকাল। এখন পর্যন্ত দলটি ৪০টি নাট্য প্রযোজনা মঞ্চে এনেছে এবং ইতোমধ্যে নাটকগুলোর ১০২৩টি প্রদর্শনী সম্পন্ন করেছে। এছাড়া ২টি নাট্য প্রযোজনার শতাধিক এবং ১টি নাট্য প্রযোজনার দেড় শতাধিক মঞ্চায়ন সম্পন্ন করেছে। মঞ্চে ৪টি প্রযোজনা নিয়মিতভাবে মঞ্চায়ন অব্যাহত রেখেছে দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
জেআইএম