বাংলানিউজ: নতুন কোনও গানের কাজ করছেন?
বেলী: হ্যাঁ, বর্তমানে আমার দুটি গান প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। একটি ‘সুখ পাখি’ এবং অন্যটি ‘ও পরাণের বন্ধু’ শিরোনামে প্রকাশ পাবে।
বাংলানিউজ: গফুর হালীর ‘ও পরাণের বন্ধু’ গানটি আপনার আগে কেউ গেয়েছেন, নাকি আপনি প্রথম করছেন?
বেলী: না, এর আগে গানটি কেউ গাইনি। গফুর হালীর কথায় মৌলিক গান করেছি। মানে, গফুর হালীর কথা-সুরে ‘ও পরাণের বন্ধু’ আমার মৌলিক গান।
বাংলানিউজ: গফুর হালী প্রয়াত হয়েছেন ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর। মানে, চার বছর হয়ে গেলো। তার লেখা গান কবে-কীভাবে সংগ্রহ করলেন?
বেলী: মৃত্যুর আগেই অপ্রকাশিত এই গানটি ওনার থেকে চেয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে করবো করবো করেও এতদিন গানটির কাজ সম্পন্ন করতে পারিনি। তবে দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত গানটি করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। গফুর হালীর কথা-সুরে এর সঙ্গীতায়োজন করেছেন সুমন কল্যাণ। এরইমধ্যে গানটির যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই আমার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভিডিওতে প্রকাশ পাবে গানটি।
বাংলানিউজ: অ্যালবাম প্রথা নেই। চলছে একক গানের দিনকাল। তো, সব মিলিয়ে আপনার প্রকাশিত একক গানের সংখ্যা কত হতে পারে? উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গানের কথা বলুন-
বেলী: ৩০টির কম হবে না। বেশি হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে- ‘কত আর পোড়বো (২০১৬)’, ‘আকাশের তারাদের সাথে (২০১৭)’, ‘জন্ম তোমার না হলে যুদ্ধ হতো না (২০১৭)’, ‘এই রাত তোমারই (২০১৬)’, ‘বাবুজি (২০১৮)’, ‘হায় রে হায় রে (২০১৮)’, ‘বেদের মেয়ে জোসনা (২০১৯)’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
বাংলানিউজ: বেশ কিছু সিনেমাতে গান করেছেন। কয়েকটি গানের কথা জানতে চাই-
বেলী: গান গেয়েছি ‘রাঙা মন’, ‘সর্বনাশা ইয়াবা’, ‘মনের ঘরে আগুন’, ‘বুলেট বাবু’, ‘নগর মাস্তান’, ‘অন্তর জ্বালা’সহ আরও বেশ কিছু সিনেমায়। এর মধ্যে ‘রাঙা মন’ সিনেমায় গাওয়া ‘কিছুতে পারবে না ভুলিতে’ গানটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলানিউজ: আপনার পছন্দের জায়গা তো স্টেজ শো। দেশ-বিদেশে ভালোই শো করছেন। সামনে দেশের বাইরে কোথাও শো আছে?
বেলী: অক্টোবরে লন্ডনে শো আছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গান করার বিষয়ে কথা চলছে। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে লন্ডনের একটি কনসার্ট শেষে দেশে ফিরলাম। আর দেশের মধ্যে ঢাকা’সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত শো তো করেই যাচ্ছি।
বাংলানিউজ: আপনি তো অনেক আগে একটি ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কী অবস্থা এখন ব্যান্ডটির?
বেলী: ২০০৫ সালে ‘ব্লু বার্ডস’ নামের ব্যান্ডটির সঙ্গে যুক্ত হই। ২০০৫-০৭ সাল পর্যন্ত আমি ব্যান্ডটির ড্রামার ছিলাম। গানও করতাম। কিন্তু পাওয়ার ভয়েস’র পর থেকে ব্যান্ডটি নিয়ে এগোতে পারিনি। তবে সামনে ‘ব্লু বার্ডস’ নিয়ে কিছু পরিকল্পনা আছে। আপাতত এর বেশি এখন বলতে পারছি না। বলে রাখি, আমাদের ‘ব্লু বার্ডস’ ব্যান্ডের প্রত্যেক সদস্যই মেয়ে। এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র নারী ব্যান্ডদল।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
ওএফবি