শনিবার (২৭ জুলাই) কৃষ্টি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ছায়ানটে হওয়া ‘বাংলা গানের পরম্পরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানকে দুটি পর্ব ভাগ করা হয়। প্রথমে পর্ব ‘গানগল্প’ বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়ে চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
মঞ্চে উঠে ‘স্বপ্ন দেখার সাহস করো’ শীর্ষক গান দিয়ে গানের পর্ব শুরু করেন শুভেন্দু। তার এই গানের ‘জীবন কী কাগজের নৌকা/স্রোতে কিংবা হাওয়ায় যাবে ভেসে’- লাইনটি উপস্থিত শ্রোতাদের অনেকেই গুণ গুণ করে গাইতে থাকেন। গানটি শেষ হওয়ার পর মঞ্চে আসেন শুভেন্দুর স্ত্রী-আবৃ্তিশিল্পী শিবানী মাইতি। একে একে তিনটি কবিতা আবৃত্তি করে উপস্থিতির বাহবা কুড়ান তিনি।
এরপর ‘শ্যামা আমার নীরব কেনো মা’ শীর্ষক গানের মাধ্যমে ফের গাইতে শুরু করেন শুভেন্দু। গানগল্প ও আলোচনার মধ্য দিয়ে একে একে ‘পাপ-পুণ্যের কথা আমি কারে বা সুধাই’, ‘আগের বাহাদুরী কই’, ‘এই ছিলো তোমার মনে’ গানগুলো গেয়ে শুনান গুণী এই সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব।
এরপর মঞ্চে আসেন শুভেন্দুর মেয়ে তানিয়া মাইতি। মঞ্চে উঠেই উপস্থিতিকে হাসালেন তানিয়া। বললেন, ‘আমি এখন যে গানটি গাইবো- সেই গানটি আমার দাদার লেখা। আর এই গানটি দিয়ে দাদা বৌদি’কে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। গানটি শুনে বৌদি-দাদার প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে পারেননি। ’
দাদা-বৌদির প্রেম-গল্পটি শুনিয়ে সঙ্গীতশিল্পী ভাবি’র সঙ্গে দ্বৈতভাবে গাইতে শুরু করেন তার দাদার লেখা গান ‘আমি চাই তোকে চাই, ভালোবাসি তাই’।
তানিয়ার গাওয়া শেষে শুভেন্দু আবার গেয়ে শুনান ‘স্বপ্ন বড় লাইচ্চুর বান্দা/ছাড়তে দেই না তাকে/ফেনা ভাতেও লেপ্টে থাকে, থাকে কলমি শাকে’ ও ‘মাইনউদ্দীন জেগে আছো’, ‘জেগে আছি একা, জেগে আছি কারাগারে’ শীর্ষক গান তিনটি।
এরপর প্রখ্যাত সাংবাদিক কামাল লোহানী মঞ্চে এসে শুভেন্দু মাইতির প্রশংসা করেন। স্মৃতিচারণা করেন তাদের সম্পর্ক ও বিভিন্ন সময়ের ঘটনা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে আড়াই মাস কোনো অনুষ্ঠানে যাইনি। এখনো অসুস্থ। কিন্তু শুভেন্দু এসেছে, আর তার অনুষ্ঠানে আমি আসবো না- এটা কী হয়! তাই চলে এলাম। ’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষ্টি ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বুলবুল মহলানবীশ ও সাধারণ সম্পাদক এনায়েত কবীর, বাংলানিউজ২৪.কম’র সম্পাদক জুয়েল মাজহার, সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকলি ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
ওএফবি