কিন্তু অক্ষয়, বরুণ, কপিল কেন বলিউডের অন্যতম কিংবদন্তি গুলশান কুমারের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া করলেন? সমস্যা কাহিনীতে বা এর চরিত্রে নয়। সমস্যা ধরা পড়ে স্বয়ং সিনেমাটির পরিচালকের চরিত্রে।
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আমির খান জানিয়েছেন, তিনি তার সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়ন করেছেন। ‘মুঘল’ সিনেমার কাজ শুরু করছেন তিনি। পরিচালক সুভাষের সঙ্গে সিনেমাটিতে তিনি নিজেই গুলশান কুমার চরিত্রে অভিনয় করবেন।
আমির খান প্রায় এক বছর পর সিনেমাটির কাজে ফেরার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানান, সুভাষকে শাস্তি দেওয়া তিনি ও তার স্ত্রী কিরণ বেদী মেনে নিতে পারেননি। তারা নিজেদের মধ্যে অনেক আলোচনা করেছেন। একটা মানুষের অতীত কর্মের ফলে তার রুটি-রুজি বন্ধ করে দেওয়া কতটা মানবিক? প্রশ্নটি তাদের মনে ঘুরপাক খেত।
এ প্রসঙ্গে আমির খান বলেন, আমি ও কিরণ সিনেমাটি প্রযোজনা করছিলাম এবং আমি এটাতে অভিনয়ও করছিলাম। কাজটি যখন শুরু করি তখন আমরা জানতাম না যে সুভাষ কাপুরের বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে। আমার বিশ্বাস এটা পাঁচ-ছয় বছর পুরনো একটা মামলা ছিল। এটা আলোচিত কিছু ছিল না। গত বছরে #মিটু আন্দোলনের সময় ব্যাপারটা জানাজানি হয়। আমরাও তখনই এটা জানতে পারি। আমরা প্রচণ্ড বিরক্ত হই। আমি ও কিরণ এ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করি। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আমরা খুব দ্বিধান্বিত ছিলাম। ’
এরপর সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় এক বছর পর কেন আবার সিনেমাটির কাজ শুরু করছেন তিনি? উত্তরে তিনি জানান, আমি রাতে ঘুমাতে পারতাম না। আমার অসতর্ক কাজের জন্য একজন মানুষের কাজ করার অধিকার নষ্ট হয়ে গেল, তার রোজগার বন্ধ হয়ে গেল। আমি ও কিরণ অনেক নারীর সঙ্গে কথা বলি যারা ইতোপূর্বে সুভাষ কাপুরের সঙ্গে কাজ করেছেন। তাদের কেউই তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনেননি। বরং বিপরীতক্রমে প্রশংসাই করেছেন সবাই। হ্যাঁ, তার মানে এই নয় যে, অতীতে কারও সঙ্গে তার খারাপ ব্যবহার অসম্ভব। তাই বলে সবকিছু নতুন করে তো শুরু করাই যায়।
আমির খান আরও জানান, এই চরিত্রটির জন্য তিনি অক্ষয় কুমার ও বরুণ ধাওয়ানকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু গুলশান কুমারের ছেলে ভূষণ কুমার বলেন, ‘চরিত্রটি তোমারই জন্য আমির’। হ্যাঁ, চরিত্রটি ও সিনেমাটির পাণ্ডুলিপি আমির খানের খুব পছন্দ। তাই গুলশান কুমার চরিত্রেই আমির খানকে তার ভক্তরা শিগগিরই দেখতে পাবেন বলে আশা করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
এমকেআর