আগামী শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জোড়া কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের মামলায় ভারতের রাজস্থান রাজ্যের যোধপুর আদালতে সালমানের হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু শুনানির আগেই তাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার বিষয়টি সবাইকে অবাক করেছে।
সালমানকে হত্যার হুমকির পোস্টটি করা হয় ‘সোপু গ্রুপ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে। সেখানে সালমানকে সতর্ক করে বলা হয়, তিনি ভারতীয় আইন থেকে বাঁচতে পারবেন, কিন্তু বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের আইন থেকে নয়।
হুমকির পোস্টটি হিন্দি ভাষায় লেখা হয়। যা বাংলায় এমন, ‘সালমান তুই ভারতের আইন থেকে হয়তো বাঁচতে পারবি, কিন্তু বিষ্ণোই সম্প্রদায় ও সোপু পার্টির আইনে তোকে মৃত্যুর শাস্তি দিচ্ছে। সোপুর আদালতে তুই দোষী। ’
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, সালমানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার বিষয়টি যোধপুর পুলিশকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। এর কারণে পুলিশ সালমানের বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।
১৯৯৮ সালে সুরজ বরজাতিয়া পরিচালিত ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার দৃশ্যধারণ চলাকালে ‘থর’ মরুভূমির শহর যোধপুরের কাছে কঙ্কণী গ্রামে বিরল প্রজাতির দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ ওঠে সালমান খানের বিরুদ্ধে। পরে ১৯৯৯ সালে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে সালমান ছাড়াও আসামি করা হয় সাইফ আলী খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমকে।
২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল মামলাটির চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন যোধপুর আদালত। রায়ে সালমানকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার রুপি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস দেওয়া বাকি আসামিদের। তবে দু’দিন কারাভোগের পর ৫০ হাজার রুপি ও মুচলেকা দিয়ে ৭ এপ্রিল আদালত থেকে জামিন পান সালমান। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আবারও আপিল করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
জেআইএম