আর জনপ্রিয় এই গানসমুহের গীতিকার এবং সুরকার সূত্রে আইনগত স্বত্তাধিকারী জিয়াউর রহমান, যিনি শিরোনামহীনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তাই অনুমতি ছাড়া এসব গান পরিবেশন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ইতোপূর্বে কপিরাইট অফিসের রায়কে তুহিন মতামত বলে অভিহিত করে অগ্রাহ্য করলে শিরোনামহীন আদালতে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করে। আদালত তুহিন এবং তার ব্যান্ড আভাস’কে শিরোনামহীন’র গান পরিবেশনের উপর আইনগত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আদালতের কারণ দর্শানোর শুনানীতে তুহিন উপস্থিত ছিলেন এবং শুধুমাত্র সময় প্রার্থনা করা ছাড়া কোনো তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। নিষেধাজ্ঞা জারির শুনানীতে আভাস’র নিয়োগকৃত আইনজীবির উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা আদেশকৃত হয়।
সম্প্রতি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে তুহিনের ব্যান্ডদল আভাস’কে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শিরোনামহীনের গান পরিবেশন করতে দেখা গেছে, যা বিজ্ঞ আদালতের আমলেও পৌঁছেছে। আদালতের আদেশ অগ্রাহ্য করার এমন ঘটনায় শিরোনামহীনের সদস্যবৃন্দ তীব্র নিন্দা ব্যক্ত করেন। প্রত্যেক শিল্পীর যার যার অধিকার সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট আইনের বিবেচনায় বিজ্ঞ আদালত আদেশ জারি করেন। সেটাও অমান্য করে আইনের প্রতি অবমাননা করা শিল্পীসুলভ মনোভাব প্রকাশ করে না বলে হতাশা ব্যক্ত করে শিরোনামহীন। এরকম দুর্নীতি চলতে থাকলে দেশের সুষ্ঠু সংগীতচর্চা এবং শিল্পীদের প্রাপ্য অধিকার ও সম্মান বিপন্ন হবে বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেন তারা।
এ বিষয়ে শিরোনামহীনের ভোকাল শেখ ইশতিয়াক বাংলানিউজকে বলেন, ‘তানজির তুহিন শিরোনামহীনের তিনটি গান পরিবেশন করতে পারবেন। গানগুলো হচ্ছে- ‘হয় না’, ‘পরিচয়’, এবং ‘আহত কিছু গল্প’। কারণ এই গানগুলো গীতিকার-সুরকার তানজির তুহিন। যদিও এই গানগুলোর গাওয়ার বিষয়ে এখনো তিনি আইনি বৈধতা পাননি। অথচ আমাদের ‘বন্ধ জানালা’, ‘হাসিমুখ’সহ অধিক জনপ্রিয় গানগুলো তিনি নিয়মিত পরিবেশন করে আসছেন। এর ফলে শিরোনামহীন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অনিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। ’
এর আগেও ‘শিরোনামহীন’ ছেড়ে যাওয়ার পরও এ ব্যান্ডের গান তানজির তুহিনের পরিবেশনকে ‘বেআইনি’ বলে জানিয়েছে কপিরাইট বোর্ড। কপিরাইট অফিসে ‘শিরোনামহীন’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোর্ড এ আদেশ দিয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৯
ওএফবি