এবার সেই মামলার বিরোধিতা করে মোদিকে চিঠি দেন ১৮০জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এই তালিকায় রয়েছেন নাসিরুদ্দিন শাহ্, ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার, লেখক অশোক বাজপেয়ি, সংগীতব্যক্তত্ব টি এম কৃষ্ণা, শিক্ষাবিদ ইরা ভাস্কর প্রমুখ।
এছাড়া প্রথমে প্রতিবাদ জানানো ৪৯জন ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন রামচন্দ্র গুহ, শ্যাম বেনেগাল, অনুরাগ কাশ্যপ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, অপর্ণা সেন প্রমুখ। বিহারের আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা’র অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মুজাফফরপুর সদর পুলিশ স্টেশনে এফআইআর করা হয়।
বুধবার (৯ অক্টোবর) তাদের বিরুদ্ধে করা দেশদ্রোহিতার এই মামলাটি বাতিল করেছে বিহারের মুফাফফরপুর পুলিশ। শুধু তাই না, তাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ করার দায়ে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে পুলিশ। মূলত ১৮০জন বরেণ্য ব্যক্তির মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে লেখা চিঠি পরেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।
মোদীকে খোলা চিঠি লিখে বিশিষ্টরা আদতে প্রধানমন্ত্রী ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন- এই অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা। সেই মামলায় মুজাফফরপুর আদালতের নির্দেশ মেনেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে পুলিশের দাবি।
এ বিষয়ে বিহারের অতিরিক্ত ডিজি (সদর) জীতেন্দ্র কুমার বলেন, ‘আদালতের নির্দেশনামা মেনেই বিশিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এখানে পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই। আর মামলাটি খতিয়ে দেখেছেন মুজাফফরপুরের এসএসপি। অভিযোগের সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রামাণ্য নথিও পেশ করতে পারেননি অভিযোগকারী। সবদিক খতিয়ে দেখে এটাই স্পষ্ট হয়েছে যে, মামলাটি ভিত্তিহীন। সে কারণেই মামলা বাতিল করা হয়েছে। ’
পুলিশের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আইনজীবী সুধীর কুমার ওঝা বলেন, ‘সব অভিযুক্তের সঙ্গে কথা না বলেই মামলা বাতিল করা হয়েছে। মুজাফফরপুর পুলিশের তদন্তের বিরুদ্ধে আমি পিটিশন ফাইল কররো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৯
ওএফবি