বর্তমানে সিনেমা, বিজ্ঞাপন ও পড়াশোনা নিয়ে ঐশীর সময় কাটছে। চলতি বছরেই তিনটি সিনেমাতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
সম্প্রতি বাংলানিউজের মুখোমুখি হয়েছেন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। কথা বলেছেন সিনেমা, পড়াশোনা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে-
বাংলানিউজ: এখন আপনি কী নিয়ে ব্যস্ত?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী: কয়েক মাস আগে ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমার কাজ সম্পন্ন করেছি। সেপ্টেম্বরে আবু তাওহীদ হিরণ পরিচালিত ‘আদম’ সিনেমার প্রথম লটের শুটিং করলাম। এখন আপাতত পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত আছি।
বাংলানিউজ: কোথায় পড়ছেন?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী: ২০১৮ সালে এসএইচসি শেষ করলেও ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা ও কাজের ব্যস্ততার কারণে এতদিন পড়াশোনায় স্বল্প বিরতি দিতে হয়েছে। তবে সেপ্টেম্বরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছি। এখন আমার প্রথম সেমিস্টার চলছে।
বাংলানিউজ: ‘মিশন এক্সট্রিম’ ও ‘আদম’-এ আপনাকে কেমন চরিত্রে দেখা যাবে?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী: দুইটি সিনেমার চরিত্রই আমার অনেক পছন্দের। ‘মিশন এক্সট্রিম’-এ শহুরে তরুণী ও ‘আদম’-এ গ্রাম্য সাধারণ তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করছি। আলাদা দুইটি চরিত্রে অভিনয় করা আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল।
বাংলানিউজ: আলোচিত ‘ঢাকা অ্যাটাক’র পর ‘মিশন এক্সট্রিম’ দেশের দ্বিতীয় পুলিশ অ্যাকশন-থ্রিলার সিনেমা। এতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী: এটি আমার প্রথম সিনেমা। নিজের সবটুকু দিয়ে আমি কাজটি করেছি। সিনেমার পরিচালক সানী সানোয়ার ভাই ও ফয়সাল আহমেদ ভাইসহ পুরো টিম আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছেন। যেহেতু আমি নতুন, তাই অনেক কিছু আগে জানতাম না। যা আমি উনাদের কাছ থেকে শিখতে পেরেছি। বড় আয়োজনের সিনেমা হওয়ায় কাজ করতে গিয়ে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমার বিশ্বাস দর্শকদের জন্য আরও একটি চমৎকার সিনেমা অপেক্ষা করছে।
বাংলানিউজ: ‘মিশন এক্সটিম’-এ শহর কেন্দ্রিক আর ‘আদম’-এ গ্রাম কেন্দ্রিক চরিত্রে কাজ করছেন। শহর থেকে গ্রামে, কেমন ছিল বিষয়টি?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী: এটা আসলে আমার জন্য শিক্ষার একটা মাধ্যম ছিল। দুইটি চরিত্রই খুব ভালো। চেষ্টা করেছি যখন যে চরিত্রে কাজ করেছি, তখন সে চরিত্রের মতোই হয়ে যেতে। তবে শুটিংয়ের আগে চরিত্র নিয়ে অনেক ভেবেছি, চরিত্রটির সঙ্গে মেলে এমন মানুষের সঙ্গেও কথা বলে শেখার চেষ্টা করেছি। আমি মনে করি, একজন অভিনেত্রীকে বহুমুখী চরিত্রে দক্ষ হওয়া জরুরি। তাই সব ধরনের চরিত্রে রূপদান করতে চাই।
বাংলানিউজ: ‘স্বপ্নবাজি’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ কী ছিল?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী: সিনেমাটির কয়েকটি দৃশ্যে আমার আপত্তি ছিল। মনে হয়েছে এখনই এ ধরনের দৃশ্যে আমি কাজ করতে পারবো না। আর গল্পের প্রয়োজনে দৃশ্যগুলো বাদ দেওয়াও সম্ভব ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে আমিই সরে গেছি।
বাংলানিউজ: আপনার নতুন কোনো কাজের খবর আছে?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী: আপাতত নতুন কোনো কাজ চূড়ান্ত হয়নি। তবে অনেকের সঙ্গে কথা চলছে। চূড়ান্ত হলে জানাবো।
বাংলানিউজ: কাজ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী: পড়াশোনা চালিয়ে যাবো। সুযোগ, মনের মতো গল্প, চরিত্র ও আয়োজন পেলে কাজ করবো। আর অভিনয়ে নিজেকে দক্ষ করে তোলার যতো সুযোগ পাবো, সব লুফে নেবো।
বাংলানিউজ: সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী: বাংলানিউজ ও আপনাকেও ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
জেআইএম