শিল্পীদের তালিকায় ছিলেন- আইয়ুব বাচ্চু, রুপম ইসলাম, তপু, রাঘব চ্যাটার্জী, বালাম, কোনাল। সাত গানের এই অ্যালবামের সবগুলোর সুর-সংগীত করার পাশাপাশি একটি গান কণ্ঠেও তুলেছিলেন জিয়া খান।
সেই অ্যালবামের শিরোনাম (ছায়াশরীরী) গানটি গেয়েছিলেন গীটার জাদুকর আইয়ুব বাচ্চু। এটিই ছিল তার জীবনের সবশেষ গান। আর এই গানটি তিনি অন্যের সুরে গেয়েছিলেন দীর্ঘ নয় বছরের বিরতি ভেঙে।
সেই জিয়া খান এবার আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে তৈরি করছেন বড় আয়োজনের একটি গান। আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে এটিই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় কোনো আয়োজন। এরই মধ্যে গানের কথা-সুরের কাজ প্রায় শেষ। এতে দুই বাংলার ৩০জন শিল্পী কণ্ঠ দেবেন বলে তিনি বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
এই অ্যালবামে দুই বাংলার কোন কোন শিল্পীরা গান করছেন এবং এত বড় একটি কাজে উৎসাহী হলেন কীভাবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে জিয়া খান বলেন, ‘বাচ্চু ভাই চলে যাওয়ার পর থেকে তাকে নিয়ে কী করা যায়, এমন একটা ভাবনা মাথায় ঘুরতেই থাকতো। দীর্ঘদিন একসঙ্গে চলেছি। ওনার সঙ্গে অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার। সেই স্মৃতির তাড়না ও তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনস্বরূপ বৃহৎ এই কাজে হাত দিয়েছি। আশা করি সফলতার সঙ্গে কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো। ’
‘আর এই অ্যালবামে শিল্পী ত্রিশ’র বেশিও হতে পারে। তবে কম না। এই তালিকায় খ্যাতনামা শিল্পীদের মধ্যে থাকছেন- সাবিনা ইয়াসমীন, নকীব খান, রাঘব চ্যাটার্জী, রূপঙ্কর বাগচী, পিলু খান, পার্থ বড়ুয়া, হাসান, রকস্টার শুভ, পারভেজ, পিন্টু ঘোষ, আগুন, মিজান, সুজন আরিফসহ এ সময়ের আরও বেশ ক’জন শিল্পী।
এলো রক্তগোলাপ হাতে ঘুমন্ত শহরে/ঘরছাড়া এক সুখী ছেলে/স্বপ্ন ছিল বুক ভরা তার/সঙ্গী ছিল এক রুপালী গীটার/সে জানতো যেতে হবে বহুদূর তাকে/আকাশের মতো ডানা মেলে- এমন কথা গানটি যৌথভাবে লিখেছেন দুজন গীতিকবি। মিউজিক ট্র্যাক সম্পন্ন হওয়ার পরেই শিল্পীদের কণ্ঠ নেওয়ার পর্ব শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন জিয়া খান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
ওএফবি