কিন্তু রাজকুমারের ক্যারিয়ার খুব সহজেই দাঁড়ায়নি। আজকের অবস্থানে আসতেও তাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।
দীপাবলি উপলক্ষে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) মুক্তি পেতে যাচ্ছে রাজকুমারের নতুন সিনেমা ‘মেড ইন চায়না’। সিনেমাটির প্রচারণা উপলক্ষে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ক্যারিয়ারের কঠিন কিছু বাস্তবতার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। সেখানে জানিয়েছেন, এক সময় খাবার ও কাপড় কেনার টাকা ছিল না তার, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৮ রুপি।
রাজ কুমার বলেন, ‘আমি প্রথম মুম্বাই এসে ছোট্ট একটা বাসায় আরেকজনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে থাকতাম। আমাকে ৭ হাজার রুপি ভাড়া দিতে হতো। যদিও এই অর্থটাও তখন আমার কাছে অনেক বেশি ছিল। প্রতিমাসে আমার ১৫ থেকে ২০ হাজার রুপি প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তখন আমি জানতে পারি আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ছিল মাত্র ১৮ রুপি!’
‘ওটা আসলে আমার জন্য খুব কঠিন সময় ছিল। আমি খুব সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছি। এক সময় এমন হয়েছিল স্কুলে পড়াশোনার খরচ দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না। তখন শিক্ষকরা দুই বছর ধরে আমার খরচ চালিয়েছেন,’ যোগ করেন ‘নিউটন’খ্যাত এই তারকা।
রাজকুমার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া ভারতের পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (এফটিআইআই) থেকেও ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি।
৩৫ বছরের এই অভিনেতা বলেন, ‘এফটিআইআই’তে পড়ার সময়ে আমরা বন্ধুরা একে অপরের কাছ থেকে ঋণ করে চলতাম। কখনো খুদা লাগলে বন্ধুর বাসায় গিয়ে খাবার খেতাম। তাছাড়া কাপড় ও খাবার কেনার পর্যাপ্ত টাকাও আমার কাছে ছিল না। ’
তিনি জানান, তার বন্ধু বিনোদ ও তিনি মিলে বাইকে করে বেরিয়ে পড়তেন অডিশন দিতে। এক প্রযোজক থেকে অন্য প্রযোজকের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াতেন, শুধু একটা সুযোগের জন্য। শুধু তাই নয়, তাদের মাথায় ফ্যাশনের ধারণাও একেবারে ছিল না বললেই চলে।
২০১২ সালে ‘শহীদ’ সিনেমার জন্য ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান রাজকুমার রাও। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে-‘সিটিলাইটস’, ‘তালাশ’, ‘কুইন’, ‘রাবতা’, ‘বারেলি কি বারফি’, ‘স্ত্রী’সহ বেশকিছু সিনেমা। সর্বশেষ ‘জাজমেন্টাল হ্যায় ক্যায়া’ সিনেমার মধ্য দিয়ে শেষবার তাকে পর্দায় দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
জেআইএম