বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) লাস্যময়ী এ তারকার জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও জন্মদিন উদযাপনের জন্য জাঁকালো আয়োজন রেখেছেন তিনি।
বাংলানিউজ: শুভ জন্মদিন। এবারের জন্মদিনে বিশেষ কী আয়োজন রেখেছেন?
পরীমনি: ধন্যবাদ। আলাদা কিছু না, প্রতিবার যেমন আয়োজন করি তেমনই। কাছের মানুষদের নিয়ে দিনটি উদযাপন করবো। তাই সন্ধ্যায় সবাইকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছি। দিনটিতে পছন্দের অনেক মানুষকে একসঙ্গে পাই। খুব ভালো লাগে। দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটে।
বাংলানিউজ: এই অনুষ্ঠানের বাইরে আর কী পরিকল্পনা রয়েছে?
পরীমনি: ঢাকার একটি এতিম খানার শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাবো। তাদের সঙ্গে দুপুরের খাবার খাবো। সাধ্যমত কিছু উপহার দেবো। তারা তো বাবা-মাকে হারিয়েছে। তাই আমার এই খুশির দিনটি তাদের সঙ্গে ভাগ করাটা অনেক তৃপ্তি দেয় আমাকে। আমি তাদের মাঝে গেলে নিজেকে হারিয়ে ফেলি। তারাও আমাকে পেয়ে অনেক আনন্দিত হয়, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। এ অনুভূতিটা আসলে অন্যদের বলে বোঝানো যাবে না।
বাংলানিউজ: এসব আয়োজন কবে থেকে করছেন?
পরীমনি: আপনারা আসলে আমাকে যতদিন ধরে চেনেন, ততদিন ধরেই। মানে আমি সিনেমায় কাজ শুরু করার পর থেকে। আগেও ইচ্ছে ছিল, কিন্তু সেভাবে সুযোগ হতো না। এখন মনের ইচ্ছেগুলো নিজের মতো করেই পূরণ করার চেষ্টা করি। এতে আমি শান্তি পাই।
বাংলানিউজ: এখন পর্যন্ত জন্মদিনে পাওয়া আপনার প্রিয় উপহার কী?
পরীমনি: প্রিয় উপহার অনেক আছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রিয় উপহার হচ্ছে বই। কেউ আমাকে বই উপহার দিলে আমার অনেক ভালো লাগে। কারণ আমি বই পড়তে অনেক ভালোবাসি।
বাংলানিউজ: আপনি তো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভক্ত। তাহলে কি কবিগুরুর বই পেতে বেশি পছন্দ করেন?
পরীমনি: এখন আর না! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা সব বই আমার কাছে আছে। পড়াও হয়েছে। তবে এখন আমি চাইবো কেউ যাতে আর তার বই আমাকে না দেন। অন্য কারো লেখা উপন্যাস কিংবা কবিতা হতে পারে। এই দুই ধরণের বই আমি বেশি পড়ি।
বাংলানিউজ: আপনার ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমা এখন কোন পর্যায় আছে?
পরীমনি: চলতি সপ্তাহে শুটিং শেষ করেছি। এখন সিনেমার ইউনিটের সবাইকে খুব মিস করেছি। কারণ শুটিংয়ে আমার খুব ভালো সময়ে কেটেছে। ‘বিশ্বসুন্দরী’ দারুণ একটি সিনেমা হয়েছে। ক্যামেরার ফ্রেমে ফ্রেমে খুব সুন্দর করে গল্পটা তুলে ধরা হয়েছে। আমি কাজটি করে মনে প্রশান্তি পেয়েছি।
বাংলানিউজ: ‘বিশ্বসুন্দরী’তে দর্শক আপনাকে কেমন রূপে দেখতে পাবেন?
পরীমনি: আমার চরিত্রটির নাম হচ্ছে ‘শোভা’। তবে চরিত্র নিয়ে বিস্তারিত এখনই বলতে চাচ্ছি না। কিন্তু দর্শক এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন, ‘বিশ্বসুন্দরী’ ভালো গল্পের একটি সিনেমা। প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে তারা নিরাশ হবেন না বলে আমার বিশ্বাস।
বাংলানিউজ: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পরীমনি: বাংলানিউজকেও ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
জেআইএম