ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে মননশীলতার উৎকর্ষ বাড়াতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৯
‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে মননশীলতার উৎকর্ষ বাড়াতে হবে’ বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে মননশীলতার উৎকর্ষ বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে চিত্তবিনোদনের উন্নয়ন করতে হবে, বাড়াতে হবে মননশীলতার উৎকর্ষ। তা নাহলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশের মানুষের উপকারে আসবে না।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ১৫তম আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন।

রাজধানীর গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম।

১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এ উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশসহ ৪৫টি দেশ। শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনের পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তন, জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে দুই শতাধিক চলচ্চিত্র।

উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রয়াত নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল, আলোকচিত্রী ও চিত্রগ্রাহক আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের পুরোধা মুহাম্মদ খসরুকে।

অনুষ্ঠানে এ কে মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সংস্কৃতির দেশ। গত কয়েক বছর এতে ভাটা পড়েছিল। কিন্তু এখন আবার জেগে উঠেছে। আগে আমরা অনেক বেশি চলচ্চিত্র দেখতাম, ভালো ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ভাটা পড়ে যায়। এখন সে অবস্থা থেকে উত্তরণ হচ্ছে। পরিচালকদের প্রতি আমার অনুরোধ, সামাজিক মূল্যবোধ বাড়াতে সাহায্য করে এমন চলচ্চিত্র বানাতে হবে।

তিনি বলেন, সামনের দুই বছর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ এবং পরের বছর বাংলাদেশের রজতজয়ন্তী। এ উপলক্ষে আমাদের অভাবনীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবো।

উৎসবের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি জাহিদুর রহিম অঞ্জন, উৎসব পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বাধীন চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য হীরালাল সেন আজীবন সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয় নির্মাতা ও চলচ্চিত্র সংগঠক মোরশেদুল ইসলামকে।

উৎসবের প্রথমদিন প্রদর্শিত হয়েছে পাঁচটি চলচ্চিত্র।

এবারের উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগ, বাংলাদেশি স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিযোগিতার বিভাগ, তারেক শাহরিয়ার ইন্ডিপেনডেন্ট শটস, নেটপ্যাক জুরি অ্যাওয়ার্ড, কান্ট্রি ও রিজিওন ফোকাস, পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য দু’টি ফিল্ম স্কুলের নির্বাচিত চলচ্চিত্র, রেট্রোস্পেকটিভ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, ট্রিবিউট প্রদর্শনী, সাম্প্রতিক নির্মিত এশিয়ান মুক্ত দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উৎসবে আলমগীর কবির মেমোরিয়াল লেকচার উপস্থাপন করবেন ভারতের প্রখ্যাত স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা কমল স্বরূপ। ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা কুমার সাহানী তার চারটি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী ও মিজসিন বিষয়ক মাস্টার ক্লাসে অংশ নেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
ডিএন/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।