সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নিজের ইন্সটাগ্রামে শ্বেতা লেখেন, ‘আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হচ্ছিলো না। তাই আমরা আলোচনার মাধ্যমে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রোহিত মিত্তলের সঙ্গে বেশ ধুমধাম করেই গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন শ্বেতা বসু প্রসাদ। লাল রঙের বেনারসি পরে একেবারে বাঙালি সাজেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন শ্বেতা। বিয়েতে দক্ষিণী সিনেমা জগতের তারকারা হাজির হয়েছিলেন। বিয়ের পর শ্বেতা এবং রোহিতের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়েছিল জমকালোভাবেই।
কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই রোহিতের সঙ্গে মতের অমিল দেখা দেয় শ্বেতার। বিভিন্ন সময় এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় তারা। এরপরই দুজনের যৌথ সিদ্ধান্তে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন শ্বেতা-রোহিত।
রোহিত মারোয়ারি আর শ্বেতা বাঙালি। তাই মারোয়ারি এবং বাঙালি এই দুই রীতিতেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল। বিয়েতে যোগ দিয়েছিলেন বলিউডের বেশ কজন তারাকাও। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাদের এই সিদ্ধান্তে হতাশই হয়েছেন ভক্ত-অনুরাগীরা।
শ্বেতা বলিউডে পা রাখেন শিশুশিল্পী হিসেবে৷ ২০০২ সালে শাবানা আজমির সঙ্গে ‘মাকড়ি’ সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয়ের পরে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও জিতে নিয়েছিলেন। তারপর বেশ কয়েকটি সিনেমাও দেখা গিয়েছিল শ্বেতাকে। যার মধ্যে ‘ইকবাল’-এ অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন শ্বেতা ৷ এরপর সিনেমা ছেড়ে টিভিতে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।
অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে ভালোই সময় যাচ্ছিল শ্বেতার। কিন্তু ২০১৪ সালে দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে গ্রেফতার হন তিনি। দুই মাসের পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকার পরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন শ্বেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ওএফবি