জাতীয় গণগ্রন্থাগারে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক কুমার সাহানি, ইরানের চলচ্চিত্র পরিচালক সাঈদ নেজাতি, চিত্রনাট্যকার কমল স্বরূপ, উৎসব আয়োজক কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এবং সহ-সভাপতি এন রাশেদ চৌধুরী।
সমাপনী অনুষ্ঠানে মোট ৪টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হয়। বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন মূল্যমানের পুরস্কার, ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট। অনুষ্ঠানের শুরুতে পালা গান পরিবেশন করেন কিশোরগঞ্জের খোকন বয়াতী ও তার দল।
উৎসবে তারেক শাহরিয়ার বেস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট শর্টস অ্যাওয়ার্ড জয় করেছেন ‘লাইফ ইজ এলসহ্যোয়ার’র নির্মাতা বিপ্লব সরকার। তারেক শাহরিয়ার বেস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট শর্টসের বিশেষ জুরি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন ‘দ্য ডগস ইল্যুসন’র নির্মাতা মাশরুর পারভেজ।
ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন (ফিকশন) বিভাগে ‘রোকাইয়া’ শর্ট ফিল্মের নির্মাতা ডায়না সাকিব জামালকে এবং ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন (ডকুমেন্টারি) বিভাগে ‘অ্যান্ড হোয়াট ইজ দ্য সামার সেয়িং’র নির্মাতা ভারতের পায়েল কাপাঢিড়াকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া ‘মিনালাপ’ সিনেমার জন্য নেটপ্যাক জুরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় বাংলাদেশি চলচ্চিত্রকার সুবর্ণা সেঁজুতি টুশিকে।
বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী উৎসবে ৪টি বিশেষ কর্মশালা, ২টি বিশেষ লেকচার এবং একটি মাস্টারক্লাস আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার শেষ দিনে জাতীয় গণগ্রন্থাগারে সকাল ১১টায় শিশুদের জন্য বিনামূল্যে ছিল চিলড্রেন সেশন। এদিন দেখানো হয় ৪টি ফিকশন ও ৪টি অ্যানিমেটেড স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। এছাড়াও জাতীয় নৃত্যকলায় ২টি, জাতীয় চিত্রশালায় ৬টি এবং জাতীয় গণগ্রন্থাগারে ৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
এমকেআর/জেআইএম