শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে প্রচারিত ওই টিভি অনুষ্ঠানে শাহরুখ খান বলেন, ‘আমরা কখনো হিন্দু-মুসলমান নিয়ে আলোচনা করি না। আমার স্ত্রী হিন্দু, আমি একজন মুসলমান।
তিনি আরও বলেন, ‘ওরা যখন প্রথম স্কুলে যায়, তখন তাদের ধর্মের নাম লেখার প্রয়োজন হয়। আমার মেয়ে তখন ছোট ছিল। একদিন সে আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করে, বাবা আমরা কোন ধর্মের? আমি তার ফরমে সহজ কথায় লিখে দিই, আমরা ‘ভারতীয়’। এছাড়া আর কোন ধর্মের নই। আর তা হতেও চাই না। ’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, শাহরুখ খানের বাড়িতে কারও ওপর কোনো ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া হয় না। বরং তারা সকল ধর্মের উৎসবই পালন করে থাকেন।
সন্তানদের প্রসঙ্গে ইতোপূর্বে শাহরুখ বলেছিলেন, ‘আমি আমার ছেলে ও মেয়েকে এমন নামই দিয়েছি যা জাতিগত পরিচয়ের ঊর্ধ্বে। একজনের নাম আরিয়ান, আরেকজন সুহানা। আর ‘খান’ পদবীটা আমি দিয়েছি, যাতে তারা দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে না পারে। ’
আর নিজের ধর্ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ধার্মিক নই, কিন্তু আমি ইসলামিক। আমি ইসলামের মূল দর্শনে বিশ্বাস করি। আর এও বিশ্বাস করি, এটা ভালো ধর্ম এবং সুশৃঙ্খল। ’
শাহরুখ খান এ পর্যন্ত ১৪টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও ৩০টি মনোনয়ন পেয়েছেন। এর মধ্যে ৮বার তিনি সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন। তার কৃতিত্বকে কিংবদন্তি অভিনেতা দিলিপ কুমারের সঙ্গে তুলনা করা হয়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এখনও তার ঝুলিতে জোটেনি। তবে ভারত সরকারের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক নাগরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ লাভ করেছেন অনেক আগেই।
এদিকে অনেকদিন ধরে বড় পর্দায় আসছেন না বলিউডের ‘বাদশাহ’খ্যাত এই তারকা। ২০১৮ সালে ‘জিরো’ সিনেমার ব্যর্থতার পর পরিবারকে সময় দেওয়ার জন্য রুপালি পর্দা থেকে কিছুকাল বিশ্রাম নেওয়ার কথা জানান তিনি। এদিকে ভক্তরা তার নতুন সিনেমার ঘোষণার জন্য মুখিয়ে আছেন। অনেক কানাঘুষা শোনা গেলেও বাস্তবে এখন পর্যন্ত কিং খানের নতুন কোনো সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এমকেআর