ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

ঝগড়া মেটাতে বন্ধুদের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখতেন সালমান শাহ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
ঝগড়া মেটাতে বন্ধুদের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখতেন সালমান শাহ

ঢাকা: বন্ধুদের সঙ্গে দ্রুত ঝগড়া মিটমাট করতে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখতেন বাংলা চলচ্চিত্রে ধূমকেতুর মতো আসা নব্বই দশকের জনপ্রিয় নায়ক সালমান শাহ। এতেও রাগ না ভাঙলে বন্ধুদের আত্মহত্যার হুমকি দিতেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

>>>‘সালমান শাহ ইস্যুতে বিচারের রায় দেবেন আদালত, পিবিআই নয়’

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআই সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান পিবিআই’র প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

সালমান শাহ’র বন্ধু সুমিত রহমানের জবানবন্দির ভিত্তিতে বনজ কুমার জানান, গুরুগৃহ ক্যাডেট কলেজ কোচিং থেকে সালমানের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব।

সালমান শাহ তার বন্ধুদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখতেন। তিনি খুবই আবেগপ্রবণ মানুষ ছিলেন। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অনেক জেদ করতেন। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে মান অভিমান করতেন। বন্ধুদের সঙ্গে দ্রুত ঝগড়া মিটমাট করতে নিজের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখতেন। এতেও রাগ না ভাঙলে বন্ধুদের আত্মহত্যা করার ভয় দেখাতেন সালমান শাহ।  

>>>সালমানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে যা বলেছিলেন শাবনূর

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, সালমান শাহ সুপারস্টার হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন তিনবার। পিকনিকের সব খরচ তিনি একাই বহন করেছিলেন।

সালমান শাহ’র বন্ধু নাজমুল হুদা ওরফে মুক্ত, রাকিব উদ্দিন খান, মোখলেসুর রহমান ওরফে ভুট্টো জবানবন্দিতে তার সম্পর্কে একই কথা জানান।  

সালমান শাহর স্ত্রী সামিরার জবানবন্দির ভিত্তিতে পিবিআই’র প্রধান জানান, ১৯৯০ সালের ১২ জুলাই চিটাগাং ক্লাবে সামিরার সঙ্গে পরিচয় হয় সালমান শাহ’র। তখন তিনি (সামিরা) 'ও' লেভেলের পরীক্ষা দিতে ঢাকা আসেন। সামিরা তার ফুপুর বাসায় ওঠেন। তখন তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৯০ সালে সামিরার সঙ্গে ফোনে কথা বলা নিয়ে মায়ের সঙ্গে সালমান শাহ’র কথা কাটাকাটি হয়। সেসময় আত্মহত্যা করার জন্য ৯০টি ইনকটিন ট্যাবলেট খান।

>>>কাউকে দোষারোপ নয়, পিবিআইকে ধন্যবাদ: সালমানের শ্বশুর 

এরপর, ১৯৯১ সালের ২০ নভেম্বর কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবির সেটে বসে সামিরাকে নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়। আত্মহত্যা করার জন্য তখন তিনি স্যাভলন খেয়ে ফেলেন। তখন মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে তাকে ওয়াশ করানো হয়।

সালমান শাহর বন্ধু মুস্তাক ওয়াজ তার জবানবন্দিতে বলেন, এফডিসিতে জানাজার নামাজ পড়া শেষে সালমানের বাবা তাদের (বন্ধুদের) বলেন, ‘ইমন যা করতে চেয়েছিল, তাই হলো। ’

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০
এমএমআই/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।