বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) স্থানীয় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয় বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার ভাই রণধীর কাপুর।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
এর একদিন আগে বুধবার (২৯ এপ্রিল) মারা যান বলিউডের আরেক অভিনেতা ইরফান খান। এতে ভারতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমেছে। দুঃখ প্রকাশ করছেন তারকাদের পাশাপাশি রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কাপুর পরিবারের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের প্রিয় ঋষি কাপুর সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে চলে গেছেন। দুই বছর ধরে চলা অস্থিমজ্জার ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হলো তার। ডাক্তার ও মেডিক্যাল স্টাফরা জানিয়েছেন, তিনি সবসময় সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন। দুই বছর ধরে তার চিকিৎসা চলাকালীন তিনি সবসময় হাসিখুশি থেকেছেন। ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের ভালোবাসায় তিনি কৃতজ্ঞ। পরিবার, বন্ধু, খাদ্য আর সিনেমা নিয়েই তিনি সময় কাটিয়েছেন।
যারা এসময়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন, তারা সবাই অবাক হয়েছেন। তিনি কখনও তার রোগকে নিজের ওপরে প্রভাব বিস্তার করতে দেননি। তার চলে যাওয়ার পর সবাই যেন বুঝতে পারেন হাসি মুখেই তার স্মৃতিচারণ সবাই করুক, অশ্রুসিক্ত চোখে নয়, এটাই তার চাওয়া ছিল।
সামাজিক মাধ্যমে একে একে সব তারকাই ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে শোকবার্তা ও স্মৃতিচারণ জানাচ্ছেন।
ঋষির মৃত্যুতে রাজনৈতিক শীর্ষ নেতারাও শোকাহত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার শোকবার্তায় জানিয়েছেন, কিংবদন্তি ও বহুমুখী অভিনেতা ঋষি কাপুরের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই অভিনেতা ১৫০ এর বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তার অসুস্থতাকেও তিনি মর্যাদা বজায় রেখে মোকাবিলা করেছেন। তার পরিবার, বন্ধু, ভক্ত ও চিত্রজগতের সবার প্রতিই আমার সমবেদনা।
২০১৮ সালের মাঝামাঝিতে ঋষি কাপুরের ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর সস্ত্রীক মার্কিন মুলুকের উদ্দেশে রওনা হন। নিউইয়র্কে চিকিৎসা চলে তার। চিকিৎসা শেষে ভারতে ফেরার পর তাকে কয়েকবার হাসপাতালে যেতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২০
টিএ/জেআইএম